ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাবি থেকে আটক ডিজিটাল জালিয়াত চক্রকে নিয়ে র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলন

সাঈদুর রহমান রিমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১০
ঢাবি থেকে আটক ডিজিটাল জালিয়াত চক্রকে নিয়ে র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি কৌশল ব্যবহার করে অসদুপায় অবলম্বনকারী চক্রের ৮ সদস্যকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে র‌্যাব।

এর আগে শুক্রবার দিনে এদেরকে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে জালিয়াতির কাজে ব্যবহার করা বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়।

এ চক্রের সদস্যরা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রশ্নপত্র অভিনব পন্থায় মোবাইল ফোনের মেসেজের মাধ্যমে হলের বাইরে থাকা স্যাঙ্গাতদেরকে জানায়। এরপর তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে মেসেজ আকারে উত্তরগুলো পঠিয়ে দেয় তারা।

এই জোচ্চুরির ফলে কম মেধা সম্পন্ন এবং অযোগ্য পরীক্ষার্থীরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ লাভ করে থাকে।

র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে শুক্রবার রাত ১১ টায় আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়, লে. কমান্ডার জাররার হোসেন খান এবং এএসপি কুদরত-ই-খুদা’র যৌথ নেতৃত্বে র‌্যাব-৩ এর একটি দল শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। সকাল সাড়ে ১০টায় চক্রের অন্যতম হোতা আমিনুল ইসলাম ওরফে হামিদকে (২৬) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১ নম্বর কক্ষ থেকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব গোয়েন্দারা। এ সময় তার কাছ থেকে মেসেজ পাঠানো অবস্থায় মোবাইল ফোন, ভূয়া রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়। আমিনুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৪-২০০৫ শিক্ষা বর্ষে বিবিএ’র (একাউন্টিং) ছাত্র।

তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী র‌্যাব রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দিনভর অভিযান চালিয়ে ঢাবি’র মার্কেটিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র আনোয়ার হোসেন জনি (২৫), রাষ্ট্রবিজ্ঞান শেষ বর্ষের সোহেল রানা (২৫) ও নজরুল ইসলাম (২৮), বরিশাল বিএম কলেজের শাহজাদা (৩০), কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ৩য় বর্ষের বাচ্চু মিয়া (২২), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি শেষ বর্ষের শাহাদাত হোসেন লিটন (২৪) ও পটুয়াখালীর জামালউদ্দিনকে (২৬) গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লিখিত পরীক্ষার বিপুল পরিমাণ প্রবেশপত্র, বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর ছবি, সার্টিফিকেট, ভুয়া রাবার স্ট্যাম্প-সিল, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তর পত্রের সেট পরিবর্তনের পাতলা কাগজ (ঞযরহ ঢ়ধঢ়বৎ), পাঞ্চিং মেশিন, গাম, মোবাইল ফোন মেসেজের মাধ্যমে উত্তর পাঠানোর সিম কার্ড ও মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত চক্রটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে মোটা অংকের চুক্তিতে এ ধরণের অপকর্ম করে আসছিল।

প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ সময় : ০২৫৬ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।