ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পাল্টে যাবে চট্টগ্রামের শতবর্ষী আদালত ভবনের চেনা রূপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১০

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে শতবর্ষী আদালত ভবনের চিত্র পাল্টে যাবে শিগগিরই। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এ ভবনটি বয়সের ভারে জীর্ণ হয়ে পড়ায় এর সামনেই গড়ে তোলা হয়েছে নতুন আদালত ভবন।

আগামী ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।

 পুরনো ভবনে বিচারক, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী আর আসামিদের ছুটোছুটির নিত্যদিনের চিত্র আর দেখা যাবে না। । এটা হয়ে যাবে নতুন ভবনের নিত্যদিনের চিত্র।  
 
জানা গেছে, ২ লাখ ৪২ হাজার বর্গফুট আয়তনের চার তলা নতুন এ আদালত ভবন তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩২ কোটি টাকা। এখন তা ব্যবহারের জন্য প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত।

গণপূর্ত বিভাগের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ ভবনে থাকবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত ও মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালত।

দ্বিতীয় তলা থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত তিনটি ফোরে সব মিলিয়ে ৪৫ টি এজলাস ও বিচারকদের খাস কামরা, চারটি রেকর্ড রুম এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসার জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। সরকারি আইনজীবীদের জন্য থাকবে ১৭ টি কক্ষ। এছাড়া নিচতলায় মহিলা ও পুরুষ আসামিদের আলাদা-আলাদা হাজতখানা স্থাপনেরও কাজ চলছে।  

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (নির্মাণ) আবদুল মোমেন চৌধুরী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘নতুন ভবনে আদালতের কাজ শুরু হয়ে গেলে পুরনো ভবনের সংস্কার কাজ শুরু হবে। আর সেটা শোভা পাবে ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে’

এজন্য ৪০ লাখ টাকা ব্যয় ধরে নতুন একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠনো হয়েছে বলে জানান তিনি।

১৮৯২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পরীর পাহাড়ে এ আদালত ভবন নির্মাণ করে। কালের পরিক্রমায় ভবনটি ধীরে ধীরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সেটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।

ঐতিহ্যবাহী এ ভবন ভাঙার সরকারি সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজের মধ্যে এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ দানা বাধেঁ।   তাদের প্রতিবাদের মুখে ভবনটি সংস্কার করে অটুট রেখে এর পেছনে চারতলা একটি নতুন আদালত ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় প্রকল্পের অনুমোদন দিতেই আওয়ামী লীগের মেয়াদ পার হয়ে যায়। এরপর চার দলীয় জোট সরকারের আমলে প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি। ২০০৮ সালের মার্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়ার পরপরই শুরু হয় নতুন ভবন নির্মাণের কাজ।

পুরনো আদালত ভবন রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব  প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘যত পুরনো স্থাপনা আছে সেগুলো আমাদের ঐতিহ্যের স্মারক। সেগুলোকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।