ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নড়াইলে সুলতানের শিশুস্বর্গ এখন জুয়াড়িদের আখড়া

শরিফুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১০
নড়াইলে সুলতানের শিশুস্বর্গ এখন জুয়াড়িদের আখড়া

নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ডা. নীহাররঞ্জন গুপ্তের পৈত্রিক বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের (লাল মিয়া) হাতে গড়া স্বপ্নের শিশুস্বর্গ-২ এখন জুয়াড়ি আর নেশাখোরদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

সুলতানের মৃত্যুর পর ১৬ বছর ধরে অবহেলা আর অযত্নে শিশুস্বর্গটি এখন জরাজীর্ণ।



১৯৮৮ সালে এসএম সুলতানের নিজ তত্ত্বাবধানে শিশুস্বর্গ-২ এর কার্যক্রম শুরু হলেও ১৯৯৩ সালের ২৪ নভেম্বর নড়াইলের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন শিল্পী এসএম সুলতানকে সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুস্বর্গ-২ উদ্বোধন করেন।

শিশুস্বর্গে এখন বাস করে চামচিকা, বাদুড়, পাখি ও কীটপতঙ্গ। দোতলায় বাস করেন কেয়ারটেকার বলাই মণ্ডল। এটি এখন ভূতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। অথচ এক সময় শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত হতো এ বাড়িসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা। মূলত সুলতানের মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয় শিশুস্বর্গের প্রতি অবহেলা।

কেয়ারটেকার বলাই মণ্ডল বলেন, ডা. নীহাররঞ্জন গুপ্তের চাচা ডা. মনোরঞ্জন গুপ্ত তার বাবা-মাকে কেয়ারটেকার হিসেবে এ বাড়িতে আনেন। গুপ্ত পরিবার ১৯৪৭ সালের পর ভারতে চলে যায়। সে সময় থেকে এ বাড়ি আমরা দেখাশুনা করে আসছি।

স্থানীয় অধিবাসী আলী আজগর রাজা জানান, ১৯৯৪ সালে ১০ অক্টোবর বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের মৃত্যুর পর শিশু স্বর্গ-২ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

ডা. নীহাররঞ্জন গুপ্ত ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও স্কুল শিক আতাউর রহমান ফিরোজ বলেন, ‘সুলতানের শিশুস্বর্গ খ্যাত নীহাররঞ্জনের জরাজীর্ণ দ্বিতল বাড়ির নিচতলা জুয়াড়ি ও নেশাখোরদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মোমবাতির আলোয় চলে জুয়া খেলা ও অসামাজিক কার্যকলাপ। ’

ইতনা ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী হায়দার আলী মোল্লা বলেন, ‘২০০৩ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এ বাড়িটি গ্রহন করেছে বলে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এটি সংস্কার বা সংরণের বিষয়ে কোনো পদপে নেওয়া হয়নি। ’

নড়াইল-২ আসনের এমপি ও ইতনা গ্রামের সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসকে আবু বাকের বলেন, ‘জুয়াড়িদের উচ্ছেদে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।