বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, বাজারে তারল্য সচল আছে। দেশী মুদ্রার কোনো সংকট নেই। বৈদেশিক মুদ্রারও কোনো সংকট নেই। আমার শহর আমার গ্রাম কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। বলা হয় জনসংখ্যা এতো বেশি কর্মসংস্থান হবে কিভাবে। কিন্তু জনসংখ্যা যত বেশিই হোক যাতে কর্মসংস্থান হয় সে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। আমাদের অবকাঠামো নির্মাণে সশিক্ষিত শ্রমিকের সংকট আছে। ভারতে একটি শ্রমিক প্রশিক্ষণ স্টোর আছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসম্পন্ন শ্রমিক তৈরি করার জন্য আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে এমওইউ এর মাধ্যমে শ্রমিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ রাস্তাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এ রাস্তাগুলো সনাতনীভাবে কম টাকায়, কম বরাদ্দে নির্মিত। আমরা বুয়েটকে দিয়ে একটা ডিজাইন করছি। এই সমস্যা আর থাকবে না। আমরা একটা সফটওয়্যার তৈরির কাজ করছি। ওই সফটওয়্যারে কাজ সম্পন্ন হলে আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমোবাইল প্রসেসের মাধ্যমে জানতে পারবো কোথায় কোন রাস্তা দ্রুত সংস্কার করা দরকার। সে অনুযায়ী প্রকৌশলীরাও অফিসে বসেই কাজ করতে পারবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এজন্য আমি বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়রদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা আগে থেকেই ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে দিয়েছি যাতে বৃষ্টির পানিতে ওভারফ্লো না হয়। আগে থেকে ড্রেন পরিষ্কার করায় এবার জলাবদ্ধতা দেখা দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমাদের পার ক্যাপিটা ইনকাম বাড়ছে, কনজামশন বাড়ছে, ওয়েস্টও বাড়ছে। এই বর্জ্য নিঃসরণ করার জন্য আমি এবং আমার সরকার কাজ করছি। কিভাবে সব শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত এই বর্জ্য নিঃসরণ করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এসকে/জেডএস