আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে আরামবাগ নতুন পাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে জমি জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে তার বড় ছেলে মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী উম্মে সালমা পপি এবং দলিল লেখক বাদশা ফাহাদকে আসামী করে জুডিশিয়াল আদালতে জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত।
আসামিরা বুধবার (২৬ জুন) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিচারক নাজমুল হোসেন মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমানকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদী মনোয়রা খাতুন আর্জিতে উল্লেখ করেন, ছেলে মিজানুর রহমানকে তার বসত বাড়ি ও দোকানঘর কোনদিনও লিখে দেননি। আসামি তার ছেলে ও দলিল লেখক ২০১৫ সালের ১৬ জুন নবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অজ্ঞাতনামা এক নারীকে মা সাজিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে আম মোক্তারনামা দলিল সৃজন করেন। আবারো আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে দোকান পজিশন বিক্রয়নামা দলিল সম্পাদন করেন। কিন্তু তিনি আম মোক্তারনামা দলিল বা নোটারি পাবলিকের সামনে নালিশি সম্পত্তি হস্তান্তর করেননি।
বাদীর আইনজীবী তোহরুল ইসলাম পিন্টু বাংলানিউজকে জানান, আসামিরা অন্য কাউকে মনোয়ারা সাজিয়ে তার বসতবাড়ি ও নিউমার্কেটের দোকানঘর জালিয়াতির মাধ্যেমে সৃজিত দলিল করে লিখে নিয়েছে। এ ঘটনায় মনোয়ারা বেগম তার ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও দলিল লেখককে আসামি করে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটি আদালত জুডিশিয়াল তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার আসামিরা হাজিরা দিলে বিজ্ঞ আদালত মিজানুর রহমানকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এসএইচ