ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পুলিশ সদরের তদন্তদলের কাজ শেষ: ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
পুলিশ সদরের তদন্তদলের কাজ শেষ: ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির তদন্ত কাজ ‘আপাতত’ শেষ করেছে বাহিনীর সদরদফতরের গঠিত বিশেষ কমিটি। তারা আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে বলে জানিয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চার দিনের তদন্ত কাজ শেষে কমিটির সদস্য অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান।  

তিনি বলেন, ‘আমাদের তদন্তকাজ আপাতত শেষে, আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো’।

গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা। ২৭ মার্চ সিরাজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছিল।

দগ্ধ নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায় নুসরাত।

এই হত্যাকাণ্ডে প্রথম থেকেই স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি তদন্তে পুলিশ সদরদফতর থেকে গঠিত হয় কমিটি। পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সদরদফতরের মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের ডিআইজি এস এম রুহুল আমিন। তার সঙ্গে সিআইডির পুলিশ সুপার, দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন পরিদর্শক রয়েছেন কমিটিতে।
 
এ তদন্ত কমিটি গত ১৭ এপ্রিল সকাল থেকে সোনাগাজীর ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ নুসরাতের পরিবার, মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের মতামত গ্রহণ করে। এসময় তদন্ত দল স্থানীয় পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে। তারা বিভিন্ন জনের সাক্ষ্যও গ্রহণ করে। ঘটনার পর সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের কর্মকাণ্ডগুলোও তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেক বিষয় উঠে এসেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।  

আলোচিত এ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এখন পর্যন্ত এজহারভুক্ত আটজনসহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রধান আসামি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা ছাড়াও রয়েছেন পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, মাদ্রাসার শিক্ষক আবছার উদ্দিন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়ে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সিরাজ উদদৌলার ঘনিষ্ঠ নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও উম্মে সুলতানা পপি।

বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।