মাদ্রাসা, অষ্টপ্রহরসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে দেওয়ার কথা বলে প্রশাসনের কোন রকম অনুমতি না নিয়েই তিনি এসব গাছ কেটেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কের ১৫টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইউক্যালিপটাস, মেহগনি, কড়াই ও নিম গাছ রয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরেও দুইটি গাছ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে গ্রাম পুলিশ মতিউল বাংলানিউজকে বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউনিয়নের অন্য পাঁচজন গ্রাম পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ১৪টি গাছ কাটা হয়েছে। গাছগুলো মরা ও ঝড়ে ভাঙা ছিল।
কিন্ত এলাকাবাসীর অভিযোগ- মাত্র দুই থেকে তিনটি গাছ কিছুটা শুকনা ছিল। বাকিগুলো সতেজ ও অক্ষত ছিল। চেয়ারম্যান শুকনা গাছের অজুহাতে সবগুলো গাছ কেটে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া গাছের ডালপালাগুলো গ্রাম পুলিশ মতিউল, জাহাঙ্গীর, আমজাদ, নিখিল, জলিল ও কছি নিজেরা নিয়ে গেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান প্রণোবেশ চন্দ্র বাগচী বাংলানিউজকে বলেন, গাছগুলো শুকনো ছিল। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমি নিজ উদ্যোগে গাছগুলো কেটেছি। এছাড়া আমি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান, আমার কোন কাজ করতে প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বজলুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৮
টিএ