ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরগুনা পৌর মেয়রসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
বরগুনা পৌর মেয়রসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলা

বরগুনা: বরগুনার পৌর মেয়রসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজ নামে এক ভুক্তভোগী।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হাসিবুল হাসান মামলটি গ্রহণ করে বরগুনা থানাকে তদন্ত করে এজাহার রুজু করার আদেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন-বরগুনার পৌর মেয়র মো. শাহাদাৎ হোসেন, তার দলীয় সমর্থক হানিফ, মোস্তফা, সেলিম, মোশাররফ, আবুল কালাম, রাসেল ও ওয়াজেদ আলী খা।

তারা বরগুনা পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তিনি ২০১৪ সালে বরগুনা পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে জাহিদ স্মৃতি সড়কে তার ছেলে ও নাতির নামে একটি জমি কিনে পৌরসভা থেকে চারতলা ভবনের প্লান অনুমোদন করিয়ে একতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। চলাচলের পথ না থাকায় আসামি সেলিম ও মোশাররফের বাড়ির মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করেন। ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই হানিফ, মোস্তফা, সেলিম ও মোশাররফ তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় সেলিম ও মোশাররফ সীমানা প্রাচীর দিয়ে তার চলাচলের পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেন। পরে তিনি বরগুনা পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো কাজ হয়নি। মেয়র তাকে চলাচলের জন্য একটি ড্রেন করে দেওয়ার কথা বলেও তা দেননি। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসামি মোস্তফার দোকানে সবাইকে পেয়ে তিনি সীমানা প্রাচীর অপসারণের কথা বলেন। এসময় আসামিরা তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং টাকা দিলে সীমানা প্রাচীর ভেঙে চলাচলের পথ করে দেবেন বলেও জানান তারা।

তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চলাচলের পথ করে দেওয়ার জন্য দেড় লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে মেয়রকে দেন। তারপরও মেয়র চলাচলের পথ করে দেননি।

পৌর মেয়র মো. শাহাদাৎ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, টাকা আমি নেয়নি। টাকা নিয়েছে আবদুল আজিজের প্রতিবেশী ইকবাল।

চাঁদা দাবির ব্যাপারে মেয়র বলেন, সর্ম্পূণ মিথ্যা মামলা করেছে বাদী আবদুল আজিজ। তার প্রতিবেশীরা জমি না দেওয়ার কারণে রাস্তা করে দিতে পারিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad