ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জিডি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
বিসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জিডি

ব‌রিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাহী প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকিসহ লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিচুজ্জামান বাদী হয়ে করা সাধারণ ডায়েরিতে ‘মেসার্স মিতুসী ট্রেডার্স’র সত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার মোমেন সিকদারসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বিসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিচুজ্জামান বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।

এর আগে, সোমবার বিকেলে নগর ভবনের সামনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যানারে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিচুজ্জামানকে ঠিকাদার কর্তৃক লাঞ্ছিত করা ও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন থেকে করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের নগর ভবন শাখার সম্পাদক ও পরিচ্ছন্নতা শাখার কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা বলেন, ঠিকাদার মোমেন সিকদার প্রায়ই ক্ষমতার দাপট দেখিতে করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। অবৈধ সুবিধা নিতে না পেরে নির্বাহী প্রকৌশলী আনিচুজ্জামানকে লাঞ্ছিত করেছেন। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাই পাশাপাশি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানান।  

ঘটনার বিবরণে নির্বাহী প্রকৌশলী আনিচুজ্জামান জানান, সিটি করপোরেশনের সেবক কলোনি প্রকল্পের আওতায় ৪ নম্বর প্যাকেজ রয়েছে। যার আওতায়  আমির কুটির সেবক কলোনি ও জানুকি সিং রোড সেবক কলোনির মধ্যে তিনটি ঘাটলা, ডিপটিউবওয়েল, ওয়াকওয়েসহ বিভিন্ন কার্যক্রম রয়েছে। এ কাজ গত এক বছর ৩ মাস আগে শুরু হয়। মিতুসি এন্টারপ্রাইজের নামে কাজ নিয়ে মোমিন সিকদার ঠিকাদার একটি ঘাটলা তৈরি করে প্রায় ৪ লাখ টাকা তুলে নেন। তখন ঠিকাদার মোমিন বেশি টাকা বিল নেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তা হতে দেয়নি, এরপর থেকেই তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন।

এক বছর কাজ ফেলে রেখে মাসখানেক আগে তিনি আবারও কাজ শুরু করেন এবং এখন যেহেতু করপোরেশনে টাকা এসেছে তাই তিনি বিলের পায়তারা করছেন। বর্তমানে ২০/২৫ লাখ টাকার কাজ হয়ে থাকলেও গত তিনদিন আগে তিনি সহকারী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে এক কোটি টাকার বিল চান। তখন আমরা এটা সম্ভব নয় বলে জানাই।  

এ ধারাবাহিকতায় তিনি সোমবার দুপুরে আমার কক্ষে যান এবং বাড়তি বিল নেওয়ার নামে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেন। এ সময় তিনি অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করেন এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ