মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) রাতে উপজেলার ঝাউপাড়া সন্তষপুর গ্রাম থেকে মাটিতে পুতে রাখা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মিম ওই গ্রামের ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ও বড়াইগ্রাম উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে।
এর আগে, গত রোববার (২৫ র্মাচ) দিনগত রাতে বিয়ের চারদিনের মাথায় তাকে মারপিটে হত্যা করে বাড়ির পার্শ্বে মাটিতে পুতে রাখা হয়।
আটককৃতরা হলেন- স্বামী ফরহাদ হোসেন (২১), তার প্রথম স্ত্রী ইমা বেগম (১৮) ও তার আগের শশুর তফের আলী (৪৭), শাশুড়ি সুখজান (৩৯)। আটক ফরহাদ উপজেলার ঝাউপাড়া সন্তষপুর গ্রামের তৌহিদ শাহের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি প্রথম স্ত্রী ইমা বেগমের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন ফরহাদ। গত সাতদিন আগে ফরহাদ মিমকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রী ইমা পুনরায় ফরহাদের সঙ্গে ঘর সংসার করতে চেয়ে তাকে ঘরবাড়ি করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি হয়ে যান ফরহাদ।
একপর্যায়ে ফরহাদ তার প্রথম স্ত্রীকে পাওয়ার বাসনায় দ্বিতীয় স্ত্রী মিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে তাদের দ্বিতীয় বিয়ের চারদিনের মাথায় গত রোববার দিনগত রাতে মিমকে মারপিটে হত্যা করেন স্বামী ফরহাদ, প্রথম স্ত্রী ইমা বেগম ও ইমার বাবা-মা। এ হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে মরদেহটি বাড়ির পাশে মাটিতে পুতে রাখা হয়। পরে মিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে প্রচার করা হয়।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূ মিমের বাবা মনিরুল ইসলাম গুরুদাসপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। ওই ডায়রি মোতাবেক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফরহাদকে থানায় ডেকে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ফরহাদ পুলিশের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাসহ দায় স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পার্শ্ব থেকে মাটিতে পুতে রাখা মরদেহটি রাতে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২৮ মার্চ) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া এ ঘটনায় নিহত মিমের বাবা মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে স্বামীসহ চারজনকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৮
এসআরএস