ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
খুলনায় স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি

খুলনা: মহান স্বাধীনতা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে খুলনায় সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ, তোপধ্বনি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উল্লেখযোগ্য।

২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি এবং প্রত্যুষে খুলনা বয়রাস্থ পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে।

ওদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি-স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল আটটায় খুলনা জিলা স্কুলমাঠে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। একইস্থানে মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স,স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইডের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী হবে।

ওদিন সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরা হবে। সকাল ১১টায় নগরীর সিনেমা হলসমূহ ও দৌলতপুর শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও দুর্নীতিবিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

দুপুর একটায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশুসদন ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে ওদিন বাদ যোহর/সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং কালেক্টরেট জামে মসজিদে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে। স্থানীয় নৌবাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডবিউটিএ রকেট ঘাটে দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখা হবে।

বিকেল সাড়ে তিনটায় পাইওনিয়ার স্কুলে নারীদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সভা ও পুরস্কার বিতরণ এবং বিকেল চারটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে কেসিসি একাদশ বনাম জেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

শহীদ হাদিস পার্কে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় অনুষ্ঠিত হবে ‘ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্য এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নগরীর নির্দিষ্ট স্থানসমূহে বাদ্য সংগীত পরিবেশন করা হবে।

২৬ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি ও পুস্তক প্রদর্শনী এবং কবিতা পাঠের আসর আয়োজন করা হবে। সঠিক মাপের জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন রঙয়ের পতাকা দিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ সজ্জিত করা হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট ভবন আলোকসজ্জা করা হবে।

২৪ মার্চ শিশু একাডেমিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ ও ২৫ মার্চ উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরিতে সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শিববাড়ী মোড়ে বিসিকভবন চত্বরে ২৬-২৮ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রদর্শনী করা হবে। উপজেলাগুলোতেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।

দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা,  মার্চ ২৫, ২০১৮
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।