ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেনাপোল পেরিয়ে কলকাতার পথে বন্ধন এক্সপ্রেস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
বেনাপোল পেরিয়ে কলকাতার পথে বন্ধন এক্সপ্রেস বেনাপোল ছেড়ে যাচ্ছে বন্ধন এক্সপ্রেস/ছবি: বাংলানিউজ

বেনাপোল (যশোর): দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দফায় উদ্বোধনের পর এবার প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রা নিয়ে বেনাপোল থেকে ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ২০মিনিটে ট্রেনটি বেনাপোল রেলওয়ে ইমিগ্রেশনও কাস্টমসে যাত্রীদের ব্যাগেজ তল্লাশি ও পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এর আগে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে কলকাতার শিয়ালদাহ স্টেশন থেকে বন্ধন এক্সপ্রেস ৫৩ জন যাত্রী নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলানা স্টেশনে এসে পৌঁছায়।

সেখান থেকে পৌনে ২টায় ফিরতি যাত্রায় ২৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বিকেল ৪টায় পৌঁছায় বেনাপোলে। বেনাপোলে দেড় ঘণ্টার আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবারো কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বন্ধন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা যাত্রী হয়ে খুলনা স্টেশন থেকে বাণিজ্যিকভাবে বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রার উদ্বোধন করেন। এ ট্রেনে করে তিনি যশোর পর্যন্ত যাত্রা করেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, খুলনা-কলকাতা ১৭৫ কিলোমিটার এ রেল পথের বন্ধন এক্সপ্রেসে মোট ১০টি কোচ রয়েছে। এর মধ্যে ইঞ্জিন ও পাওয়ার কার ২টি। বাকি ৮টি কোচে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। যেখানে ৪৫৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে এসি (কেবিন) ১৪৪ এবং ৩১২টি এসি চেয়ার। যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসি সিট ২ হাজার টাকা। আর এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ধরা হয়েছে ১৫শ’ টাকা। খুলনা থেকে কলকাতায় যেতে কাস্টমস-ইমিগ্রেশনসহ প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা সময় লাগবে বন্ধনের যাত্রীদের।

​বেনাপোল স্টেশনে বন্ধন এক্সপ্রেস/ছবি: বাংলানিউজ স্বাধীনতার আগে খুলনা ও কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতো। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে বন্ধ হয়ে যায় এ রেল যোগাযোগ। প্রথমে ০৮ এপ্রিল ও পরে ৯ নভেম্বর দিল্লি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ঢাকা থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কলকাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুইচ টিপে বন্ধন এক্সপ্রেসের পরীক্ষামূলক যাত্রার শুভ সূচনা করেন। পরে ১৬ নভেম্বর থেকে এ রুটে শুরু হয় এ বাণিজ্যিক যাত্রা।

বেনাপোল রেলওয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর শরীফ ও স্টেশন মাস্টার সাইদুর জামান বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ট্রেন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে রাত ৮টার দিকে ট্রেনটি কলকাতায় পৌঁছাবে।  

ভারতগামী যাত্রী তাপস কুন্ডু বলেন, ভাড়াটা একটু বেশি হয়ে যায়। কিছুটা কমানো হলে এপথে যাত্রী যাতায়াত আরও বাড়বে।  

আর এক যাত্রী রেশব রায় বলেন, আগে থেকে ট্রেনে যদি পাসপোর্ট ফরম সরবরাহ করা হয় তাহলে সময় আরো ১০মিনিট কমে লাগবে।

**৫২ বছর পর ২৫৩ যাত্রী নিয়ে খুলনা ছাড়লো বন্ধন
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।