ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘পুনর্বাসন ছাড়া বস্তি উচ্ছেদ চলবে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
‘পুনর্বাসন ছাড়া বস্তি উচ্ছেদ চলবে না’ মানববন্ধন করে বিজলী মহল্লা ও জহুরী মহল্লা বস্তিবাসী। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিজলী মহল্লা ও জহুরী মহল্লা বস্তিবাসী মানববন্ধন করে বলেছে, পুনর্বাসন ছাড়া তাদের বস্তি উচ্ছেদ করা চলবে না। বস্তি উচ্ছেদে এলাকার প্রভাবশালী মহল নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা।

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিজলী মহল্লা ও জহুরী মহল্লা বস্তিবাসী মানববন্ধন করে বলেছে, পুনর্বাসন ছাড়া তাদের বস্তি উচ্ছেদ করা চলবে না। বস্তি উচ্ছেদে এলাকার প্রভাবশালী মহল নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন গণফোরামের নেতা রফিকুল ইসলাম পথিক, বস্তিবাসীর পক্ষে শহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, আবুল কাশেম, রাজেয়া বেগম, হেলেনা বেগম প্রমুখ।

বস্তিবাসীর পক্ষে বক্তারা বলেন, আমরা নদীভাঙা গরিব মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে এই বস্তিতে এসে বসবাস শুরু করেছি। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর যাবত তিন হাজারের বেশি লোকের বসবাস এখানে।  কিন্তু গত একমাস ধরে  স্থানীয়রা এই বস্তি উচ্ছেদের জন্য পাঁয়তারা করে যাচ্ছেন।  

“পানির ওপরে বাঁশের মাচা করে ঘর তৈরি করে বসবাস করছি। অনেক দুর্গন্ধ ও মশা-মাছি থাকলেও কষ্ট সহ্য করেই রয়েছি। এই বস্তি ছাড়া আমাদের মাথা গোঁজার আর কোনো ঠাঁই নেই। ”

তারা অভিযোগ করেন, মোহাম্মদপুরের স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন বস্তির জায়গা দখল করতে প্রতিনিয়ত তাদের উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছেন। এরইমধ্যে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। পানির লাইনও কেটে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন তিনি। ১ জানুয়ারি পুরো বস্তিটি ভেঙে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।  

তারা বলেন, বস্তির বাসিন্দাদের পুনর্বাসন না করা হলে কোনোভাবেই তা ভাঙতে দেওয়া হবে না।  

সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে বক্তারা বলেন, আমরা এই বস্তিতে বসবাস করতে চাই না। কিন্তু আমাদের ঘর-বাড়ি নেই, তাই বস্তি উচ্ছেদের আগে আমাদের পুনর্বাসন করা হোক।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এসজেএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।