ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গোবিন্দগঞ্জে হামলার ঘটনা তদন্তে পিবিআই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
গোবিন্দগঞ্জে হামলার ঘটনা তদন্তে পিবিআই

রংপুর চিনিকলের আওতাধীন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের থাকা সাঁওতাল পল্লীতে হামলা ও গুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

গাইবান্ধা: রংপুর চিনিকলের আওতাধীন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের থাকা সাঁওতাল পল্লীতে হামলা ও গুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পিবিআই বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া সাঁওতাল পল্লীতে যায়।

 

শুরুতে তদন্ত দল ক্ষতিগ্রস্ত মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে। একই সঙ্গে খামারের জমিতে বসতি থাকা এলাকাও ঘুরে দেখে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের পুড়ে যাওয়া ঘরের কাঠসহ বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করে।  

একই সঙ্গে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি মাদারপুর ও জয়পুরপাড়ার সাঁওতাল পল্লীতে পৌঁছায়।  

সকাল ১১টার দিকে গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল্লাহ ঘটনা তদন্ত করতে সাঁওতালদের সঙ্গে কথা বলেন। তার সঙ্গে গাইবান্ধার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ হোসেন রনি উপস্থিত ছিলেন।  

এসময় সাঁওতালরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ৬ নভেম্বরের ঘটনার বর্ণনা দেন।  

প্রসঙ্গত, ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের শ্রমিক-কর্মচারী পুলিশ পাহারায় সেখানে আখ কাটতে যায়। এতে বাধা দেওয়ায় তাদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তিন সাঁওতাল নিহত হন। এতে নয় পুলিশ তীরবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এসআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।