ঢাকা: বিলুপ্ত জগন্নাথ কলেজের প্রেষণে (আত্তীকরণ) থাকা শিক্ষকরা আর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেষণে (আত্তীকরণ) থাকা ২০৭ শিক্ষকের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিশ্ববিদ্যায়লয়ের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। শিক্ষকদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসান আরিফ, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন প্রমুখ। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউনুস আলী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জগন্নাথ কলেজ ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। ওই সময় শিক্ষা জীবনে ৩য় শ্রেণীপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩য় শ্রেণীপ্রাপ্ত ১৮ শিক্ষক হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট দায়ের করেন। এছাড়া ২০০৯ সালে ১০৬ জন ও ৪৩ জন এবং চলতি বছর ২৭ জন শিক্ষক আরো তিনটি রিট করেন। এসব রিটে বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৫৬ (৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ওই ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিলুপ্ত কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা হিসাবে আত্তীভুত হবেন না। ’
২০০৯ সালে ‘২০০৫ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৫৬(৩)(ক) ধারাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না’ তার কারণ জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বুধবার ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময় ২০১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১০