ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিআরটিএ’র জাল কাগজপত্র, সিল ও জাল টাকাসহ গ্রেপ্তার ২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১০

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের পৃথক অভিযানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর জাল কাগজপত্র, ভুয়া সিল, জাল টাকা, কম্পিউটার ও প্রিন্টারসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার দুপুর ২টায় মিরপুর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র মিরপুর অঞ্চলের উপ-পুলিশ কমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াজেদ আলী ।



কাজী ওয়াজেদ আলী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘থানার উপপরিদর্শক শেখ রাসেল কবিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্ব মনিপুরের কাঁঠালতলা এলাকার ১১০৭ নম্বর বাসা থেকে জাল নোটসহ ইব্রাহীম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। ’

ইব্রাহীমের কাছ থেকে থেকে পাঁচশ’, একশ’ ও পঞ্চাশ টাকা মূল্যমানের সর্বমোট ২১ হাজার নয়শ’ টাকার জাল নোট ও নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রিন্টার উদ্ধারের কথাও জানান ওসি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ‘ইব্রাহিম জাল নোট তৈরির একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় সদস্য ও দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট প্রস্তুত করে বাজারে সরবরাহ করে আসছে। ’

এদিকে, পুলিশের ওই দলটি বুধবার সকাল ৮টায় মিরপুর দুই নম্বর সেকশনের সি ব্লকের ৯ নম্বর বাসায় পৃথক একটি অভিযান চালায়। এ সময় বিআরটিএ’র বিভিন্ন কর্মকর্তার ৫৯টি সিলমোহর, বিভিন্ন ধরনের মোটরযানের জাল নিবন্ধন সনদ, ট্যাক্স টোকেন, জাল কাগজ তৈরিতে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার ও প্রিন্টারসহ নজরুল ইসলাম ওরফে জয় বাবাকে আটক করে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে মিরপুর অঞ্চলের উপ-পুলিশ কমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘জাল টাকা ও কাগজপত্র উদ্ধার নতুন কিছু নয়। কিন্তু এমন হুবহু জাল করা খুবই কঠিন কাজ। সম্প্রতি মেধাবীরা এ কাজে জড়িয়ে পড়ছেন বলেই নিখুঁতভাবে এটা করা সম্ভব হচ্ছে। এ বিষয়ে অবিভাবকদের সচেতন হতে হবে। ’

এ চক্রের বাকি সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

জাল নোটসহ গ্রেপ্তার ইব্রাহীম নিজেকে জাল নোট তৈরির সদস্য নয় বলে দাবি করে বলেন, তিনি শুধু  হেরোইন ও ইয়াবা সেবন করেন। তবে জাল টাকা তার বাসায় ছিল বলে স্বীকার করেন তিনি।

একবছর ধরে এ ব্যবসা করে আসছেন বলে জানান বিআরটিএ’র জাল কাগজপত্র ও সিলসহ গ্রেপ্তার হওয়া জয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস করেন। একবছর আগে তিনি বিলবোর্র্ড তৈরির ব্যবসা করতেন।

তিনি ৫০ টাকা থেকে তিনশ’ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ধরনের মোটরযানের জাল রেজিস্ট্রেশন সনদ, ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স টোকেন বানিয়ে দিতেন বলে স্বীকার করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।