ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফিরে দেখা-২০১৫

সিলেটে শিশু রাজন ও আবু সাঈদ হত্যার দ্রুততম রায়

নাসির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৬
সিলেটে শিশু রাজন ও আবু সাঈদ হত্যার দ্রুততম রায়

সিলেট: মানুষের দাবি ছিলো ন্যায় বিচারের। বিচারের রায়েও সন্তুষ্ট সবাই।

২০১৫ সালে সিলেটে আলোচিত দুই শিশু হত্যা মামলার রায়ের সঙ্গে ইতিহাস হয়ে থাকবে সিলেট আদালতের দুই বিচারকের নাম। কারণ দ্রুততম সময়ের মধ্যে হয়েছিলো শিশু সামিউল আলম রাজন (১৩) ও আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলার রায়।

গেলো বছর সিলেটে বিচারকার্যে আলোচিত ছিলো এ দু’টি হত্যা মামলার রায়। মাত্র ১৬ কার্যদিবসে রাজন হত্যা মামলার ও নবম কার্যদিবসে আবু সাঈদ হত্যা মামলার রায় দেওয়ায় বিচার ব্যবস্থায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়।

২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত বছরের ৮ নভেম্বর আলোচিত এ হত্যা মামলার রায়ে প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ রায় দেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা।

অপর দিকে, ২০১৫ সালের ১১ মার্চ সিলেট নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। অপহরণের তিনদিন পর ১৪ মার্চ নগরীর ঝর্ণারপাড় সোনাতলা এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে আবু সাঈদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর মাত্র নবম কার্যদিবসে এ হত্যা মামলার রায় দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ। আলোচিত এ মামলার রায়ে তিন জনের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন বিচারক। এ রায় ঘোষণার পর বিচারিক জীবন থেকে অবসন নেন তিনি। যা বছরের শেষ দিকে সর্বমহলে ছিলো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৫
এনইউ/আরএম

** বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচিত যে হত্যাকাণ্ড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।