ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

নতুনের আহ্বানে মুছে যাক সব জঞ্জাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৬
নতুনের আহ্বানে মুছে যাক সব জঞ্জাল

ঢাকা: সেকেন্ড-মিনিট-ঘণ্টা-দিন-সপ্তাহ-মাস, এভাবে পেরিয়ে গেলো আরও একটি বছর-২০১৫ সাল। বছরের শেষ সূর্যকে বিদায় জানিয়ে মধ্যরাতে বরণ নতুন বছরকে।



০১-০১-২০১৬। ইংরেজি (গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী, গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জী, পাশ্চাত্য বর্ষপঞ্জী) বছরের শুরুর বা প্রথম দিন। ২০১৬’র শেষ জোড় সংখ্যাটি তারুণ্যের, তারুণ্যের শক্তি দিয়ে প্রায় চার কোটি তরুণ জয় করবে গোটা বিশ্ব। নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে তারুণ্যের শক্তি, এটাই তো প্রত্যাশা।

পূর্ব দিগন্তে নতুন বছরের নতুন সূর্যের হাসি, এখন সময় পুরনো সব জঞ্জাল ধুয়ে-মুছে নতুনের আহ্বানে সুখ-সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ার।

বিশ্ব মন্দাতেও পুরনো বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পৌঁছেছে অভাবনীয়ভাবে। মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে বেড়েছে গড় আয়ু। বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেয়েছে ‘নিম্নমধ্যম’ আয়ের দেশ হিসেবে। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জঞ্জাল মুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
 
পুরনো বছরের শুরুটা বিরোধীদলের অবরোধে শুরু হলেও শেষ মাসগুলোতে এসেছে নানা অর্জন।

খ্রিস্টীয় নববর্ষ বাংলা নববর্ষের মতো আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ব্যবহারিক জীবনেও এ বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত হওয়ায় নববর্ষ সবাইকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। কালের বিবর্তনে এ নববর্ষ উদযাপন আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।

দেশব্যাপী নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। বছরের শেষ সন্ধ্যার পর পরই শুরু হয়েছে শুভেচ্ছা বিনিময়। সবার মধ্যে এখন প্রাণের নতুন স্পন্দন। মোবাইলে এসএমএস ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও এখন সরব শুভেচ্ছা বিনিময়ে। ইন্টারনেটে-ই-মেইলে চলছে শুভেচ্ছা বিনিময়।
 
নতুন বছরে গোটা জাতির সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানিয়েছেন শুভেচ্ছা।
 
নতুন বছরটি শুরু হচ্ছে এক মহা-উৎসবের মধ্য দিয়ে, এ উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়। সেটি হলো- খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে যাবে নতুন বই, নতুন বইয়ের গন্ধে মাতোয়ারা হবে প্রথম-নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৬০ বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করবে সরকার।

এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বছরের সব অকল্যাণ ও ব্যর্থতার গ্লানি মুছে নতুন বছর সবার জন্য বয়ে আনুক সমৃদ্ধি ও বিজয়ের বাণী-এ কামনা করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নববর্ষ উপলক্ষে এক বাণীতে দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুনের আহ্বানে পুরাতন বছরের সব জঞ্জাল ধুয়ে-মুছে যাক। নতুন বছর আমাদের সবার জীবনে অনাবিল সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি বয়ে আনুক।
 
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আসুন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠা করি।
 
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন ও তাদের সহিংসতার কথাও বলেন। একইসঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতিমূলক কর্মকাণ্ডের কথাও তুলে ধরেন।

এদিকে, ফেসবুক স্ট্যাটাসে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৬
এমআইএইচ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।