নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলায় ২টি স্থানে আগুন লেগে পুড়ে গেছে ১৪২ বিভাগ জমির আখ। ফায়ার সার্ভিস সূত্র পুড়ে যাওয়া আখের বাজারমূল্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বললেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় আগুনে প্রায় ৮ লাখ টাকার আখ পুড়ে গেছে।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে দণি লালপুরের পদ্মানদীর চরে কয়েকজন কৃষকের এবং সিরাজিপুর কৃষি খামারে নর্থবেঙ্গল চিনিকলের মালিকানাধীন আখেেত আগুন লাগে।
নাটোর ও লালপুর ফায়ার সার্ভিস দুটি স্থানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাটোর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান সাহিনউদ্দিন ও প্রত্যদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, চরের জুলু খাঁর আখেেত কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন দ্রুত সাদেক, মহসিন, আকরাম, নিয়াত, জাফের, আরশেদ, মান্নান, আরশেদ, আখের, মজিদ, আনারুল, দুলাল, জানবাহার, হানিফ, কয়েল, সাজদার, নিয়াত, মল্লিক, সোবহান ও আমজাদের জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ১০০ বিঘা জমির আখ পুড়ে যায়।
সাহিনউদ্দিন আরও জানান, প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে এখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আগুনে এখানে প্রায় ৫ লাখ টাকার আখ পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে, নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের উপমহাব্যবস্থাপক আকতার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সকাল পৌনে ১১টার দিকে কে বা কারা মিলের সিরাজিপুর কৃষি খামারের ১১ নম্বর ব্লকের ৪২ বিঘার একটি প্লটের আখেেত আগুন লাগিয়ে দেয়।
এর আগেও এ খামারে ৩ বার আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
লালপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘খামারের শ্রমিকদের বিড়ির আগুন থেকে এখানে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। ’
তিনি জানান, ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে এখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এ খামারে আগুনে পুড়ে যাওয়া আখের বাজারমূল্য দেড় লাখ টাকা বলে জানান রুহুল আমিন।
অপরদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের উপপরিচালক দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ওই এলাকায় প্রতি বিঘায় প্রায় ৭০ মণ আখ উৎপন্ন হয়। আখের সরকারি ক্রয়মূল্য প্রতি মণ ৮০ টাকা। সে অনুযায়ী আগুনে প্রায় ৮ লাখ টাকার আখ পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আখ ক্ষেতে আগুন লাগার ঘটনায় বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০