গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন নেভাতে গিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের সদস্য (ফায়ার ফাইটার) শামীম আহমেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) টঙ্গীতে আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ ফায়ার সদস্য শামীম আহমেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। মৃত শামীমের শরীর ১শ শতাংশই দগ্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা।
ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তর থেকে জানা যায়, নিহত শামীম আহমেদ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে ফায়ার ফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি ফায়ার সার্ভিসে চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৮৫ সালে তিনি নিজ জেলায় নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। এ ছাড়া শামীম আহমেদ বিবাহিত ছিলেন এবং তিন সন্তানের জনক। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ অবস্থায় বিকেল ৩টায় দিকে ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ মারা যায়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদরদপ্তরে মৃত শামীমের জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে।
এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর সাহারা মার্কেট এলাকায় একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনের ঘটনা ঘটে।
পরে ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তর থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেই আগুন নির্বাপনের ঘোষণা দেন। এই অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস থেকে সাত ইউনিট আগুন নির্বাপনের সময় সেখানে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের পরিদর্শক জান্নাতুল নাইম, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী জয় হাসান, নুরুল হুদা ও শামীম আহমেদ। আজ দগ্ধ ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ফায়ারকর্মী নুরুল হুদা ও জান্নাতুল নাঈম বার্ন ইনস্টিটিউটে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। পাশাপাশি অপর ফায়ার কর্মী জয় হাসানের দগ্ধ কম থাকায় তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
এ ছাড়া একই ঘটনায় পাশে দোকান কর্মচারী আল-আমিন নামে একজন শতভাগ দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছে। আলা-আমিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম ইনচার্জ মো. ফারুক।
এজেডএস/এএটি