স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবেন না।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুসারে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তার আগে ডিসেম্বরে ঘোষিত হতে পারে নির্বাচনের তফসিল।
আসিফ মাহমুদের এ বক্তব্যে সবার মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে যে, উপদেষ্টার দায়িত্ব ছেড়ে আসিফ মাহমুদ কি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন? তিনিও কি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কোনো দলের হয়ে?
সরকার থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে আসিফ মাহমুদ অনুষ্ঠানে বলেন, ২০১৮ সাল থেকে আমি রাজনীতিতে যুক্ত। তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সরকার থেকে সরে যাবো।
আসিফ মাহমুদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। এই প্লাটফর্মের নেতৃত্বে গত বছরের জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোন শুরু হয়, যা পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এই অভ্যুত্থানে পতন ঘটে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের। হাসিনা তখন জনরোষ থেকে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে যান।
পরে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ইসলাম ও মাহফুজ আলম।
গত ফেব্রুয়ারিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠকদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি গঠিত হয়। উপদেষ্টা পদ ছেড়ে এসে এই দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন নাহিদ ইসলাম।
অভ্যুত্থানের ছাত্র সংগঠকদের মধ্যে এখন আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম সরকারে রয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ দুজনের সঙ্গে এনসিপির সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুললেও তারা তা নাকচ করে আসছেন।
এনডি/এইচএ/