ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১২ জুন ২০২৫, ১৫ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

টাঙ্গাইলে নিরাপত্তার শঙ্কায় বন্ধ হয়ে গেল ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:৫১, জুন ১১, ২০২৫
টাঙ্গাইলে নিরাপত্তার শঙ্কায় বন্ধ হয়ে গেল ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শন

টাঙ্গাইল: কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে আলোচিত ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর থেকে উপজেলার আউলিয়াবাদ এলাকায় জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলে সিনেমাটি দেখানো বন্ধ করা হয়।

এর আগে, গত শুক্রবার আসরের পর পারকি ইউনিয়ন ওলামা পরিষদের নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তারা সিনেমা প্রদর্শন বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদনও জমা দেন।

জানা গেছে, স্থানীয় দুই আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল ও সাজু মেহেদীর তত্ত্বাবধানে জেলা পরিষদের মাল্টিপারপাস সেন্টারটি এক মাসের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়। শুরুতে ১০ দিনের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছিল। ঈদের দিন থেকে শুরু করে সারাদেশের আরও ১৩২টি প্রেক্ষাগৃহের সঙ্গে কালিহাতীতেও সিনেমাটি প্রদর্শিত হচ্ছিল।

ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকে মাওলানা আব্দুল্লাহ বলেন, এ ধরনের সিনেমা প্রদর্শনের ফলে মসজিদ, মাদরাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পাশাপাশি এতে অসামাজিক কার্যকলাপেরও আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা বিক্ষোভ করেছি এবং প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি সিনেমাটি বন্ধ করার।

আয়োজক সাজু মেহেদী জানান, হল চালুর জন্য এসি সার্ভিসিং, টিকিট ছাপানো, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে আমাদের প্রায় ৯ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। মাত্র আড়াই দিন সিনেমা চালাতে পেরেছি। এর মধ্যে পোস্টার লাগানো, মাইকিংসহ নানা প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে।

অন্য আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল বলেন, স্থানীয় আলেম সমাজ যেভাবে ক্ষতি করেছে, তা আর কারো যেন না হয়, এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। দর্শকপ্রতিক্রিয়াও ভালো ছিল, বিশেষ করে সখীপুর ও মির্জাপুর থেকে প্রচুর দর্শক আসতেন। কিন্তু একপর্যায়ে হুমকি-ধমকি আসতে শুরু করে। হলের সামনে ব্যানার লাগানো মাত্রই তা খুলে ফেলতে হয়েছে।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, আয়োজকরা আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাদের জানিয়েছি, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই।

কালিহাতীর ইউএনও মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত। জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়ে সিনেমা চালানো হচ্ছিল। এ সংক্রান্ত একটি আবেদনও আমাদের অফিসে জমা পড়েছে। তবে আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে হল ভাড়ার আবেদন এলে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত শেষে ভাড়া দেওয়া হয়। আমরা কিছু শর্ত দিয়েছিলাম, যার মধ্যে অন্যতম ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিলে প্রদর্শনী বন্ধ করতে হবে। পরবর্তীতে কি হয়েছে, আর জানি না।  

এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।