ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৩ জুন ২০২৫, ০৬ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যাপারীদের পশু বিক্রিতে বাধ্য করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩৭, জুন ১, ২০২৫
ব্যাপারীদের পশু বিক্রিতে বাধ্য করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী  বলেছেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু ক্রয় ও বিক্রিতে সরকার নির্ধারিত হাসিল ব্যতীত কোনো অর্থ আদায় করতে পারবেন না হাট ইজারাদাররা।  

এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পশুবাহী কোনো যানবাহনকে হাটে জোর করে প্রবেশ করানো যাবে না।

পশুর হাট অবশ্যই সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।  

রোববার (১ জুন ) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট কেন্দ্রিক নিরাপত্তা, কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিপণন ও কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তাসহ ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে বিশেষ সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যত্রতত্র কোরবানির পশু লোড-আনলোড করা যাবে না। রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে বা জোর করে ব্যাপারিদের পশু বিক্রিতে বাধ্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাট থেকে ক্রয়কৃত কোরবানির পশু পরিবহনে যেন কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে সেজন্য তিনি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, যে কোনো ধরনের সমস্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ জানাবেন। ঘটনার প্রমাণ রাখবেন, ভিডিও করে রাখবেন। রাস্তার শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করবেন না। অযাচিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো আচরণ করলে বা রাস্তা ব্লক করে পশুর হাট বসালে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সমন্বয় সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পশুর হাটের চৌহদ্দির মধ্যে পশুর বাজার সীমিত রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় হাট বসিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। বাজারে পশুর সংকট মর্মে গুজব ছড়িয়ে বা কৃত্তিম সংকট তৈরি করে কুরবানির পশুর বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধিরা, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিপিডিসি, ডেসকো, ঢাকা জেলা প্রশাসন, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা, লবণ ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পশুর হাটের ইজারাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পশুর হাট কেন্দ্রিক সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।  এরপর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং ঢাকা মহানগরীর পশুর হাটের ইজারাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মূল্যবান মতামত, পরামর্শ ও সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।