ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ৩০ মে ২০২৫, ০২ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

‘সাইবার স্পেসে ফটোজার্নালিস্টদের ছবি সংরক্ষণ করা হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:১৩, মে ২৮, ২০২৫
‘সাইবার স্পেসে ফটোজার্নালিস্টদের ছবি সংরক্ষণ করা হবে’

ঢাকা: সাইবার স্পেসে ফটোজার্নালিস্টদের ছবি সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।

তিনি বলেছেন, ফটোজার্নালিস্টদের তৈরি করা ছবি দিয়ে সাইবার স্পেসে ফটো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

যাতে করে আমরা সংগ্রামী চিত্রগুলো যুগ যুগ ধরে খুঁজে পাই।

বুধবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় আলোকচিত্রের ‘রূপসী বাংলা’ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  

প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে দুইজন ফটোসাংবাদিককে সম্মাননা দেওয়া হয় এবং তিনজন ফটোসাংবাদিককে সেরা প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঘোষণা করা হয়।

শারমিন এস মুরশিদ বলেন, আলোকচিত্র একটি অত্যন্ত ক্ষমতাশীল মাধ্যম। ভাষা যেটা ব্যক্ত করতে পারে না, কিন্তু একটি ছবি হাজারটা কথা ব্যক্ত করতে পারে। আমরা এই ক্ষমতাটা... আপনারা যারা এই দক্ষতাধারণ করেন এবং এই ইতিহাসটা যুগ যুগ ধরে ছবির মধ্য দিয়ে রক্ষা করছেন তারা হলেন ফটোসাংবাদিক। ফটোসাংবাদিকদের এই আজকের রূপসী বাংলা প্রদর্শনী, বাংলার রূপ মানুষের সম্মুখে আনতে চায়।  
তিনি বলেন, আসলে এই বাংলার রূপটা কি? আমার তরুণ সমাজ আমার বাংলার রূপ। জুলাই আন্দোলন বাংলা রূপ। একাত্তরের যুদ্ধে তরুণরা করেছিল, ঠিক তেমনি ২৪শে যুদ্ধেও তরুণরা করেছিল। এই যে ছাত্র-জনতা, তরুণ সমাজের সত্যের যে নিষ্ঠা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ এটাই বাংলা রূপ। যুগে যুগে আমরা এই রূপটাকে ধারণ করতে চেয়েছি। আমার গণতন্ত্র, সমতা, ন্যায্যতা সবকিছু যেন হারিয়ে যেতে চায় এবং বারবার এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা সেটা ফিরিয়ে আনি। আপনারা সেই ফিরিয়ে আনা সংগ্রামের সৈনিক। আপনাদের ছবিগুলো আমরা দেখেছি পত্রিকায়। একটা অনুরোধ এই ইনস্টিটিউশনে এমন একটি জায়গা তৈরি হোক যেখানে আপনাদের তৈরি করা ছবির সুরক্ষা মধ্য দিয়ে সংরক্ষিত থাকবে। আপনাদের তৈরি করা ছবি দিয়ে সাইবার স্পেসে ফটো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে আমরা সংগ্রামী চিত্রগুলো যুগ যুগ ধরে খুঁজে পাই।

আলোকচিত্রীদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা শারমিন বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটা ছোট দাবি আছে, এই মুহূর্তে আমার দেশের বাচ্চারা, নারীরা, তরুণীরা, পুরুষ সমাজ, ছেলেমেয়েরা খুব সংকটে আছে। নানান রকম অত্যাচারে, নির্যাতনে শিকার হচ্ছে। আপনারা শুধু নির্যাতন বর্বরতার ছবি নয়। আমাদের আশার আলো দেখান। এই বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ান। আমাদের মন্ত্রালয় এককভাবে তাদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে না। এটা সব মানুষকে করতে হবে। আমরা এই দেশটাকে সুন্দর, সুরক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি। এই দেশটাকে সুন্দর করে গড়ে তোলার দ্বিতীয়বার যে সুযোগ পেয়েছি, আপনারা মেধাবী, যে পেশায় বিরাজমান সেই ক্ষমতায় আমাদের পাশে দাঁড়ান। আমরা দেশটাকে সুন্দর করে তুলবো। নতুন করে গড়ে তুলবো। ধর্ম, বর্ণ সবার ঊর্ধ্বে গিয়ে দেশের ভালো কাজে হোক আমাদের রাজনীতি।  

এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কালের কন্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ বলেন, আমি ফটোজার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সবসময় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ফটোসাংবাদিকরা সবসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। একটা ফটোর আবেগ অনেক বেশি। একটা ছবির জন্য পরিশ্রম করতে হয় শহর, গ্রামগঞ্জে ছুটে বেড়ান। তাদের এই পরিশ্রমের ফসল ছবির মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই।

বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে এম মহসীনের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রজাতন্ত্র কিউবার অনারারী কনস্যুল ওবেইদ জায়গীরদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, বিপিজেএর সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, সিনিয়র সহসভাপতি মশিউর রহমান সুমন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সজল, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেকুজ্জামান চৌধুরী রাজিব, কোষাদক্ষ নাসিম শিকদার, প্রচার সম্পাদক সৌরভ লস্করসহ বিপিজএর সদস্যরা।

ডিএইচবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।