ঢাকা, শুক্রবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৩ মে ২০২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

‘সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের আলোকে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২২, মে ২২, ২০২৫
‘সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের আলোকে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে’ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।  

ঢাকা: সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের আলোকে শ্রম আইন সংশোধনসহ বাস্তবায়ন কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।  

বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে কর্মক্ষম বয়সী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয়ভাবে সংজ্ঞায়িত সামাজিক সুরক্ষা পরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক এক ত্রিপক্ষীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

সংলাপটি আয়োজন করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও এডিবি।  

সংলাপে শ্রম সচিব বলেন, আইএলও কনভেনশন-১৩৮ অনুযায়ী শিশুশ্রম বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর। পাশাপাশি শ্রমিকদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও মাতৃত্বকালীন ছুটির সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। গাজীপুরে শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়েও আলোচনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন/রেটিফিকেশন ১৮৭ ও ১৫৫ অনুস্বাক্ষরের বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সব সদস্য একমত পোষণ করেন। কনভেনশন ১৯০ অনুস্বাক্ষরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।  

এ ছাড়া অতিরিক্ত সচিবের (শ্রম) নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কর্তৃক শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। উক্ত প্রতিবেদনের আলোকে শ্রম আইন সংশোধনসহ বাস্তবায়ন কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে গ্রহণ করা হবে।

শ্রম সচিব বলেন, চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, বসবাসের উন্নত পরিবেশ, নারী শ্রমিকদের জন্য স্যানিটেশন সুবিধা ও পানির ব্যবস্থা, অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসা এবং শিশুদের প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইআইএস, অসুস্থতা, মাতৃত্ব, আঘাতসহ সোশ্যাল ইন্স্যুরেন্স কন্ট্রিবিউটরি ফান্ডসহ সুনির্দিষ্ট প্ল্যানসহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।  

সফিকুজ্জামান শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের বিভিন্ন সেবার কথাও তুলে ধরেন। এসব কেন্দ্রে শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, আইনি পরামর্শ, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হবে। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।  

এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিকেএমইএ সভাপতি, বিজিএমইএ প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং আইএলও’র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।  

জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।