ঢাকা: রাজধানীর আফতাবনগরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় তোফাজ্জল হোসেন (৩২) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২১ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এরআগে মারা যায় তোফাজ্জলের স্ত্রী মানসুরা ও তার ৪ বছর বয়সি মেয়ে তানজিলা।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, তোফাজ্জলের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল, সঙ্গে শ্বাসনালিও পুড়ে গিয়েছিল। হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছিল তাকে। সেখানেই ভোরে মারা যান তিনি।
তিনি জানান, বর্তমানে তোফাজ্জলের দুই মেয়ে তানিশা ৩০ শতাংশ ও মিথিলার ৬০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এরআগে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আফতাবনগরে দক্ষিণ আনন্দনগর এলাকায় একটি তিনতলা বাসার নিচতলার বাসার মধ্যে জমে থাকা গ্যাসে কোনো কারণে আগুনের স্পর্শ হলে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়। দগ্ধ হন মানসুরা আক্তার (২৮), স্বামী তোফাজ্জল হোসেন (৩২), তিন মেয়ে তানিশা (১১), মিথিলা (৮) ও তানজিলা (৪)। তাদের মধ্যে বাবা-মা শিশু সন্তান মারা যায়।
মানসুরার মেয়ের জামাই মো. রিপন জানান, ওই বাসাটির পাশে একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি কাজের সময় গ্যাস লাইন লিকেজ হয়। সেখান থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। ঘটনার সেদিন সকালে বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানানো হয়। তবে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরবর্তীতে সেদিন রাতে যখন বাসায় মশার কয়েল জ্বালাচ্ছিলেন, তখনই বিস্ফোরণ হয়। এতে পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়।
তোফাজ্জল পেশায় একজন দিনমজুর। ৪ কন্যা সন্তানের জনক তিনি। ঘটনাটিতে স্বামী-স্ত্রীসহ তার ছোট ৩ মেয়েই দগ্ধ হয়েছে। স্বামীর বাড়িতে থাকায় ভাগ্যক্রমে আগুনের হাত থেকে বেঁচে গেছেন বড় মেয়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাও সদরে।
এজেডএস/জেএইচ