ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

৫৫৩ কোটি টাকা ঋণ: এস আলমসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২১, মে ১৯, ২০২৫
৫৫৩ কোটি টাকা ঋণ: এস আলমসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন এস আলম

ঢাকা: নামসর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৫৩ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন ও আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ (এস আলম) ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৯ মে) দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, আসামি মোহাম্মদ সাইফুল আলম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজ নামক নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। এ প্রক্রিয়ায় ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখা থেকে প্রথমে ৫০ কোটি টাকার বাই মুরাবাহা (হাইপো) বিনিয়োগ এবং ৫৫ কোটি টাকার এলসি সুবিধা অনুমোদন করা হয় মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজ-এর নামে।

ঋণ অনুমোদনের সময় গ্রাহকের সিআইবি রিপোর্ট, ঠিকানা যাচাই, হালনাগাদ বীমা পলিসি ও ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ না করা, আইনজীবীর প্রত্যয়নপত্র না নেয়া, NEC না নেওয়া, অতিমূল্যায়িত জামানত গ্রহণসহ নানাবিধ অনিয়ম করা হয়।

ঋণের অর্থ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখা থেকে বিভিন্ন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান যেমন-ভেনাস ট্রেডিংস লি., রিজেনেবল ট্রেডার্স লি., আব্দুল আওয়াল অ্যান্ড সন্স লি., ইউনিয়ন প্যাসিফিক সোর্স অ্যান্ড ট্রেড-এর নামে ইউনিয়ন ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় স্থানান্তর করা হয়। এরপর এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানে মোট ১৩০ কোটি টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সংঘটিত হয়েছে।

২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গ্রাহকের আবেদনের ভিত্তিতে ও শাখা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের সুপারিশে বিনিয়োগ হিসাব নিয়মিত রাখার জন্য বছর বছর নবায়ন করা হয়। অনুমোদিত ঋণসীমা ৪৫ কোটি টাকা হলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ ছাড় করে মোট ৫৫৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে দুদক অভিযোগ করেছে।

মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।  

এসএমএকে/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।