ঢাকা, রবিবার, ২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ জুন ২০২৪, ০৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

স্মার্ট বাংলাদেশের পলিসিতে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তির পরামর্শ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
স্মার্ট বাংলাদেশের পলিসিতে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তির পরামর্শ

ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশের পলিসিতে প্রতিবন্ধিতা বিষয় অন্তর্ভুক্তির জন্য পরামর্শ দিয়েছেন অংশীজন এবং বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দেশের ১০ শতাংশ জনগণ প্রতিবন্ধী।

এই বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে বাদ রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন পূর্ণতা লাভ করবে না। পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত ককাস পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘পরিবর্তনের ক্ষমতায়ন: স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তির জন্য ককাসের ভূমিকা’ শীর্ষক নীতিনির্ধারণী সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।

স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক (এসবিএন) ইক্যুয়াল বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন, সাইটসেভারস, এটুআই, আইডিয়া ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।

২০৪১ সালের মধ্যে জাতীয় স্মার্ট বাংলাদেশ এজেন্ডায় প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আলোচনা করার জন্য প্রধান অংশীদাররা একত্রিত হন। নীতিনির্ধারণী সভায় বক্তরা দেশের উচ্চাভিলাসী ২০৪১ ভিশনে এটি অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ স্মার্ট জাতিতে রূপান্তরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পেছনে না ফেলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  

বিভিন্ন খাতের অংশীদারদের জন্য জাতীয় নীতিমালা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা এবং কৌশল নির্ধারণের পরামর্শ দেন তারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং সাইটসেভারসের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও। সভাপতিত্ব করেন এটুআই এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোল্লা মিজানুর রহমান। মডারেটর ছিলেন এটুআইয়ের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ইনোভেশন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের নির্বাহী সদস্য মানিক মাহমুদ।

সাইটসেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও বলেন, একটি স্মার্ট বাংলাদেশের অর্জনে আমাদের অবশ্যই এই ককাসকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে এবং এর ক্ষমতায়ন করতে হবে। সংসদ সদস্যরা প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক ককাস খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করতে পারে।

প্রধান অতিথি আবুল কালাম আজাদ সরকারের ভিশন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি বাংলাদেশ কল্পনা করছি যেখানে প্রতিটি নাগরিক, তাদের সক্ষমতা নির্বিশেষে, জাতির অগ্রগতি থেকে উপকৃত হতে এবং এতে অবদান রাখতে পারবে। আজকের সংলাপটি সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, অ্যাক্সেসযোগ্যতা ক্ষমতায়নের মূল চাবিকাঠি। আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিমান চলাচলসহ অন্যান্য সেবার সম্পূর্ণ অ্যাক্সেসযোগ্য করার জন্য কাজ করছি।

নীতি সংলাপটি একটি ককাস প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর সম্মতি দিয়ে শেষ হয়, যা প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তি এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতার একটি মডেল হিসাবে গড়ে তুলবে।

সভায় রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন (ওপিডি), বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার (আইএনজিও) প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।