ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মামাকে ছুরি মেরে অপহরণের চেষ্টা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৪
মামাকে ছুরি মেরে অপহরণের চেষ্টা!

রাজশাহী: জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজশাহীর বেলপুকুর থানার ধাদাশ গ্রামের বাসিন্দা জারমান আলীকে ছুরি মেরে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার ভাগ্নের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর অপহরণ ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ভাগ্নেসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ মে) গভীর রাতে নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (৬ মে) বিকেলে ওই মামলায় গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছুরিকাঘাতে আহত জারমান আলী বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজন ইসলাম (২৪), আশিক ইসলাম (২১), জাহিদ হাসান (১৯), দীপ্ত মল্লিক (১৯), সোহানুর রহমান জয় (২০), সাদমান সাদিক (১৯), আকাশ ইসলাম আরিফ (১৮) ও সিহাব হোসেন (১৮)। রাজন ও জারমান সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাজশাহীর বেলপুকুর থানার ধাদাশ গ্রামের জারমান আলীর ভাগ্নে রাজন ইসলামের সঙ্গে পারিবারিক ও জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব ছিল আগে থেকেই। জারমান আলী রোববার সকালে বাড়ি থেকে লেগুনাযোগে রাজশাহী সিটি হাটে যাচ্ছিলেন। তিনি নগরীর শাহ মখদুম থানার আমচত্বর এলাকায় পৌঁছলে ভাগ্নে রাজন ইসলামসহ অন্য সহযোগিরা তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে। তারা জারমান আলীকে নিয়ে নওদাপাড়া এলাকায় পৌঁছলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। তখন রাজন ধারালো চাকু দিয়ে জারমান আলীর পেটে আঘাত করে করে। এ সময় অন্যরাও জারমান আলীকে মারধর শুরু করেন। তবে জারমান আলীর চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে এ ঘটনায় শাহ মখদুম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলার পর রোববার গভীর রাতে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজনসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এজাহারে আরও একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৪
এসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।