ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

সন্ত্রাস-মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
সন্ত্রাস-মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ ছবি: ফোকাস বাংলা

ঢাকা: সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীকে আরও আন্তরিক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।  

তিনি বলেন, দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা একান্তভাবে অপরিহার্য।

পুলিশ সদস্যদের সরকারপ্রধান বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বলবো আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন এটা হচ্ছে পুলিশের মূল মন্ত্র। কাজেই পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করবে এটাই আমাদের সব সময় কাম্য। দেশের মানুষ আজকে সেই আস্থা অর্জন করতে পারছে। কাজেই আরও আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের সেবা করবেন সেটাই আমরা চাই।  

শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশের প্রতিটি সদস্য গভীর দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যাবে সেটাই আমরা প্রত্যাশা করি।  

পেশাদার পুলিশ বাহিনী গড়তে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের পুলিশ বাহিনী আরও দক্ষ, পেশাদার, যুগোপযোগী এবং আন্তর্জাতিকমানের একটা স্মার্ট সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের এবারের যে নির্বাচনে ইশতেহার সেখানে আমরা ঘোষণা দিয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো সেই সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পুলিশ বাহিনী ও স্মার্ট পুলিশ বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে। সেজন্য আপনাদের প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট অত্যন্ত জরুরি এ বিষয়ে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।  

এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বিপিএম পদক তুলে দেন শেখ হাসিনা।  

এবার অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ পদকে ভূষিত করা হয়।  

বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা- এ চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। যারা এ পদকে ভূষিত হন তাদের নামের শেষে বিপিএম ও পিপিএম উপাধি যুক্ত হয়।

২০২২ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১১৫ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেওয়া হয়। ২০২০ ও ২০২১ সালে দেওয়া হয় ২৩০ জন পুলিশ সদস্যকে।

২০২০ সালে বিপিএম ও পিপিএম পদক পান ১১৮ জন। ২০১৯ সালে ৩৪৯ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম ও পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল।  

এর আগে যথাক্রমে ২০১৮ সালে ১৮২ জন, ২০১৭ সালে ১৩২ জন, ২০১৬ সালে ১২২ জন, ২০১৫ সালে ৮৬ জন কর্মকর্তা বিপিএম ও পিপিএম পদক পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।