ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দোকানে দোকানে ফুলের পসরা, লোকসানের আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
দোকানে দোকানে ফুলের পসরা, লোকসানের আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

নীলফামারী: বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিবস দুটি উপলক্ষে প্রতিবারের মতো নীলফামারীর সৈয়দপুরে সেজেছে ফুলের দোকানগুলো।

শুধু বাজার নয় মোড়ে মোড়ে ও গলিপথেও ফুলের পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। এ দিনে সকাল থেকে বাহারি ফুলের পসরা সাজিয়েছেন বসেছে ব্যবসায়ীরা। দুদিনে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার টাকার ফুল বিক্রি করবেন এমনটাই আশা করছেন। অনেক ব্যবসায়ী ফুলে ক্যাপ পরিয়ে রেখেছেন।

জানা গেছে, বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সারা বছর টুকটাক করে ফুলের ব্যবসা চললেও ব্যবসা জমজমাট হয় পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে। সব মিলিয়ে দেখা গেছে পাইকার, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ফুল নিয়ে বাড়তি বিক্রি ও বাড়তি আয়ের জন্য ব্যস্ত রয়েছেন।

শহরের বিভিন্ন ফুলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, ভালোবাসা ও পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে স্থানীয় দোকানের পাশাপাশি অস্থায়ী বেশ কয়েকটি দোকান বসিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তবে দোকানে দোকানে ফুলের পসরা থাকলেও আশানুরূপ ক্রেতা নেই এসব দোকানে। ফলে দোকানিরা লাখ লাখ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

কয়েক বছর আগেও ফুলের তেমন কদর ছিল না। সময় পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে এখন সর্বত্রই ফুলের কদর বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা লাল গোলাপ, রজনিগন্ধা, গাদা, কসমস, ডালিয়া, টিউলিপ, কালো গোলাপ, ঝুমকা লতা, জাগানিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ফুলের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন।

পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস ছাড়াও সামনে রয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি। এই তিনটি দিবসকে সামনে রেখে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের দম ফেলার সময় নেই।

শহরের শহীদ ড. জিকরুল হক সড়কের পাপন ফুল বিতানের মালিক মবিনুল ইসলাম অ্যাপেলো জানান, যশোরের গদখালি ও স্থানীয়ভাবে ফুল সংগ্রহ করেছি। এখনই বলা যাচ্ছে না বেচাকেনা কেমন হবে। তবে বিভিন্ন জায়গায় ফুলের দোকান বসায় শঙ্কায় আছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।