ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহনে চাঁদাবাজি করতেন তারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহনে চাঁদাবাজি করতেন তারা

রাজশাহী: রাজশাহীতে এবার চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে র‌্যাব-৫। রাজশাহীর পৃথক দুইটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সাতজন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‌্যাব-৫ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, এসব চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আগে থেকেই বিভিন্ন থানায় একাধিক চাঁদাবাজির মামলা আছে, যা আদালতে চলমান।

এসব চাঁদাবাজ রাজশাহীর বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে চলমান যানবাহন থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছিল। তাদের মধ্যে রাজশাহী বাইপাস সড়ক সংলগ্ন ট্রাক টার্মিনাল থেকে চারজন ও মহানগরীর উপকণ্ঠে থাকা কাটখালীতে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক থেকে আরও তিনজনকে আটক করে র‌্যাব-৫ এর অভিযানিক দল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার বিকেলে রাজশাহী বাইপাস সড়কের ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় কিছুদিন ধরে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন আটকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র। র‌্যাবের অভিযানিক দল চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা আখতারুজ্জামান হেলেন (৪৯), আব্দুর রাজ্জাক (৪৭), আব্দুল কুদ্দুশ (৫৫) ও মো. মিন্টুকে (৩৬) আটক করে। তাদের মধ্যে আটক আখতারুজ্জামান হেলেন কাশিয়াডাঙ্গা থানার হাড়ুপুর গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে। রাজ্জাকের বাড়ি মতিহার থানার খোজাপুর গ্রামে, আব্দুল কুদ্দুস মহানগরীর তেরখাদিয়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে ও মিন্টু বায়া ভোলাবাড়ি এলাকার ছলিম উদ্দিন সরকারের ছেলে। তারা সোনামসজিদ স্থলবন্দর তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া চাল, ডাল ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করতেন।

অন্যদিকে র‌্যাবের দলটি রোববার দিনগত রাতে মহানগরীর কাটাখালী এলাকায় মহাসড়কে যানবাহনে চাঁদা তোলার সময় আশরাফুল ইসলাম (৩২),  মানিক আলী (৩৮) ও দুরুল হুদাকে (৩৮) হাতেনাতে আটক করেন। তাদের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম পুঠিয়ার বেলপুকুর এলাকার মাহবুব আলমের ছেলে। অন্যদের মধ্যে মানিক নামাজগ্রাম এলাকার জাফফার মণ্ডল ও দুরুল হোদা এমাজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।

অভিযানকালে যানবাহন থেকে কয়েকটি লাঠি, চাঁদা তোলার রশিদ, ভাউচার, টোকেন ও চাঁদার ৬ হাজার ৮০০ টাকা জব্দ করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে- সংঘবদ্ধ এই চাঁদাবাজ চক্রটি লাঠিসোঁটা নিয়ে মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, লেগুনা, হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকে চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করত। চাঁদা না পেলে তারা গাড়ি ভাঙচুর করছিল। এছাড়া চালকদের আটকে রেখে মারধরও করে আসছিলেন তারা। পৃথক ঘটনায় সোমবার সকালে শাহ মখদুম ও কাটাখালী থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর আটকদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে এদিন দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
এসএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।