ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এ সরকারের আমলেই হবে সাংবাদিক শিমুল হত্যার বিচার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪
এ সরকারের আমলেই হবে সাংবাদিক শিমুল হত্যার বিচার

সিরাজগঞ্জ: সাংবাদিক শিমুল হত্যার বিচার এ সরকারের আমলে হতেই হবে উল্লেখ করে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম বলেছেন, সাত বছর আগে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন সাংবাদিককে খুন করা হলো, অথচ তার বিচার এখনও হয়নি। শিমুল আমাদের ছেলে, তার বিচার ইনশাল্লাহ হবেই।

 

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শাহজাদপুর প্রেসক্লাব হলরুমে সাংবাদিক শিমুল হত্যার সপ্তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি বলেন, মামলার নথিপত্র আমার কাছে দেওয়া হোক। এখন থেকে বাদির আর দায়িত্ব নেই। বিচার পরিচালনার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, শিমুলের স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনরা তাদের জীবিত অবস্থায় বিচার দেখে যেতে পারেন, সে চেষ্টা আমি করবো।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এমপি চয়ন ইসলাম আরও বলেন, শাহজাদপুরের সব গণমাধ্যমকর্মীদের একজোট হতে হবে। আপনারা একজোট না হলে খুনিরা সহজেই পার পেয়ে যাবে। বার বার সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাবে খুনিরা। আপনারা একজোট হলে কোনো শক্তিই শিমুলের বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে পারবে না।

শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার কুণ্ডুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আহম্মেদের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ লাভলু, সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী বেগম নুরুন্নাহার খাতুন, মামা হাজী আব্দুল মজিদ, ছেলে আল নোমান নাজ্জাশি সাদিক, মেয়ে তামান্না-ই-ফাতেমা।  

এ সময় সমকাল জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম খান রানা, নিউ এজ সাংবাদিক সুলতানা ইয়াসমিন মিলি ও আতাউর রহমান পিন্টু, সাংবাদিক শফিউল হাসান চৌধুরী, আবুল কাশেম, মুমিদুজ্জামান জাহান, সাগর বসাক ও সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি কোরবান আলী লাভলুসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রেসক্লাব চত্বরে শিমুলের প্রতিকৃতিত্বে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এমপি চয়ন, স্ত্রী-সন্তানসহ সহকর্মীরা। সমকাল পরিবারের পক্ষ থেকেও ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়। এরপর বিচারের দাবিতে গণমাধ্যমকর্মীরা পৌর শহরে শোক র‌্যালি করেন। এছাড়াও  শুক্রবার বাদ জুমা শিমুলের গ্রামের বাড়ি পোতাজিয়া ইউনিয়নের মাদলা গ্রামে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন তার স্বজনরা।  

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল। তাকে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান শিমুল। এ ঘটনায় সাবেক মেয়র হালিমুল হক মিরুকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তবে এখনো ওই মামলার বিচার শুরু হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।