ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এক হাজার ১৪২ কোটি টাকার সার কেনার অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
এক হাজার ১৪২ কোটি টাকার সার কেনার অনুমোদন

ঢাকা: সৌদি আরব, রাশিয়া, কাতার, মরক্কো এবং স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া, ৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি, ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি এবং ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি রয়েছে।

এতে মোট খরচ হবে এক হাজার ১৪১ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব সার ও এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক মা আদেন নামে সৌদি আরবের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতি মেট্রিক টন ৫৮৯ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ২ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা খরচ হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক মরক্কোর ওসিপি, এস এ নামে প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতি মেট্রিক টন ৩৮৬ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা খরচ হবে।

একই চুক্তির মাধ্যমে বিএডিসি মরক্কোর ওসিপি, এস এ থেকে তৃতীয় লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতি মেট্রিক টন ৫৪৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ২ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকা খরচ হবে।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়ার থেকে জেএসসি ফরিং ইকোমিক কর্পোরেশন ‘প্রোডিন্টরগ’ থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতি মেট্রিক টন ৩০২ দশমিক ১০ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ৯০ লাখ ৬৩ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৯ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে।

অপরদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কাতারের কাতার কেমিকেল অ্যান্ড পেট্রোকেমিকেল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট মূল্য ৯৪ লাখ ২ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৩ কোটি ৪২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে দুইটি লটে ৬০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন করা হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলার হিসেবে। এক কোটি ৮৮ লাখ ৫ হাজনর ২০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৬ কোটি ৮৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা খরচ হবে।

এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয় আওতায় বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতি মেট্রিক টন ৩১৬ দশমিক ৬২৫ মার্কিন ডলার হিসেবে সর্বমোট ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৪ কোটি ৪৮ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।