ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শত কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক ১৮ প্রার্থী: টিআইবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
শত কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক ১৮ প্রার্থী: টিআইবি

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে‌ অংশ নেওয়া এক হাজার ৮৯৬ প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন প্রার্থীর প্রত্যেকের ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।  

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস ভবনে টিআইবির কার্যালয়ে ‘নির্বাচনী হলফনামায় তথ্যচিত্র, জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

নবম, দশম, একাদশ ও‌ দ্বাদশ‌ নিবাচনে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ‌সব তথ্য তুলে ধরা হয়।

ফলাফল প্রকাশ করেন টিআইবির গবেষণা দলের প্রধান তৌহিদুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই সদস্য রিফাত রহমান ও রফিকুল ইসলাম।

তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনে এক হাজার ৮৯৬ জন অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৮ শতাংশ। আর দলীয় প্রার্থী ৮২ শতাংশ। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ১৮ জন প্রার্থীর ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে।  

অস্থাবর সম্পদমূল্যের ভিত্তিতে কোটিপতি প্রার্থীদের বণ্টনের গবেষণার ফলাফলে তিনি বলেন, এক কোটি টাকার নিচে সম্পদ রয়েছে মোট ৭২ দশমিক ০৯ শতাংশ প্রার্থীর, এক কোটি থেকে ১০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে ২১ দশমিক ২০ শতাংশ প্রার্থীর, ১০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার সম্পদ আছে চার দশমিক ৬২ শতাংশের, ৫০ কোটি টাকা থেকে ১০০ কোটির সম্পদ আছে এক দশমিক ০৭ শতাংশ প্রার্থীর এবং ১০০ কোটি টাকার ওপরে সম্পদ রয়েছে এক দশমিক ০৭ শতাংশ প্রার্থীর।

নির্বাচনভিত্তিক কোটিপতির সংখ্যা উল্লেখ করে তৌহিদুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ২৭৪ জন, ২০১৪ সালের দশম নির্বাচনে কোটিপতি ছিলেন ২০২ জন, ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে ৫২২ জন এবং এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০২৪ সালে) কোটিপতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭১ জনে।

শত কোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে এমন প্রার্থীদের তালিকা
১. গোলাম দস্তগীর গাজী। সম্পদ আছে এক হাজার ৩৪৫ দশমিক ৭৭ কোটি টাকার।  
২. এস. এ. কে. একরামুজ্জামান। সম্পদ আছে ৪২১ দশমিক ১৬ কোটি টাকার।  
৩. সালমান ফজলুর রহমান। সম্পদ আছে ৩১৫ দশমিক ৭৬ কোটি টাকার।  
৪. আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন। সম্পদ আছে ৩০৬ দশমিক ৬৮ কোটি টাকার।  
৫. ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন। সম্পদ আছে ২৭৭ দশমিক ৬১ কোটি টাকার।  
৬. দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। সম্পদ আছে ২৭৬ দশমিক ১৯ কোটি টাকার।  
৭. আব্দুল মমিন মণ্ডল। সম্পদ আছে ২৫৩ দশমিক ২৪ কোটি টাকার।  
৮. গাজী গোলাম মূর্তজা। সম্পদ আছে ২৩৩ কোটি টাকার।  
৯. মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। সম্পদ আছে ১৭৪ দশমিক ১ কোটি টাকার।  
১০. মোহাম্মদ সাইদ খোকন। সম্পদ আছে ১৬৩ কোটি টাকার।
১১. আব্দুল কাদের আজাদ। সম্পদ আছে ১৫৬ দশমিক ৩৯ কোটি টাকার।  
১২. আফরুজা বারী। সম্পদ আছে ১৫৪ দশমিক ৬৬ কোটি টাকার।  
১৩. সেলিমা আহমাদ। সম্পদ আছে ১৫২ দশমিক ২৮ কোটি টাকার।  
১৪. মাহমুদা বেগম। সম্পদ আছে ১৩০ দশমিক ৪২ কোটি টাকার।  
১৫. মো. আবদুল্লাহ। সম্পদ আছে ১৩০ দশমিক ৪২ কোটি টাকার।  
১৬. আহম মুস্তফা কামাল। সম্পদ আছে ১০৪ দশমিক ১৭ কোটি টাকার।
১৭. নূর মোহাম্মদ। সম্পদ আছে ১০২ দশমিক ৩৭ কোটি টাকার।
১৮. দেওয়ান জাহিদ আহমেদ। সম্পদ আছে ১০৪ দশমিক ৪৫ কোটি টাকার।

অনুষ্ঠানের আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, সুমাইয়া খায়ের প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
আরকেআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।