ফরিদপুর: ফরিদপুর-৩ আসনের (সদর) ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নৌকার সমর্থক দুই কর্মী আহত হয়।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর সদর আসনের নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শামীম হক জানান, বিভিন্ন সময়ে তার সমর্থকদের উপর হামলা করে আসছে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে. আজাদের কর্মীরা। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত ৯ টার দিকে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আমার কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। এতে কয়েক জন আহত হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় নৌকার কর্মী মো. শরিফুল ইসলাম জানান, তাদের কর্মীরা পোস্টার লাগাচ্ছিল ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে। রাত ৯ টার দিকে একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মটরসাইকেল যোগে কিছু লোক আসে। এসময় আমাদের কর্মীরা নৌকার পোস্টার লাগাচ্ছিল। ওই মাইক্রো ও মটরসাইকেল থেকে লোকজন নেমে নৌকার কর্মী সমর্থকদের মারধর করে। এসময় দৌড়ে অনেকে পালিয়ে যায়, এসময় দুই জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে কামরুল মোল্যা ও সেলিম শেখের অবস্থা গুরুতর। তাদের প্রথমে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার অহিমুল ইসলাম ফাহিম জানান, দুই জন রোগী এসেছিল, তাদের অবস্থা গুরুতর। একজনের মাথায় আঘাত রয়েছে, অপর জনের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে. আজাদের নির্বাচনী সমন্বয়কারী মো. শোয়েবুল ইসলাম বলেন, এটা পুরোপুরি একটা সাজানো নাটক। গত কয়েকদিন ধরে ওই ইউনিয়নে আমাদের কর্মী সমর্থকদের উপর ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, এই বিষয়ে থানায় অভিযোগও দেয়া আছে। সেই সব ঘটনাকে আড়াল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলার নাটক সাজিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে নৌকার প্রার্থী।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল গফ্ফার বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমারা হাসপাতাল ও ঈশান গোপালপুরের পুলিশ পাঠিয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
এমএম