ঢাকা, রবিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

জাতীয়

জাবিতে রাতের আঁধারে কাটা হলো ৫৬টি গাছ

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩৬, নভেম্বর ১, ২০২৩
জাবিতে রাতের আঁধারে কাটা হলো ৫৬টি গাছ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য রাতের আঁধারে ৫৬টি গাছ কেটে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (১ নভেম্বর) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকার সুন্দরবন নামক স্থানে গাছগুলো কাটা হয়।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে যান। সেখানে ওই ইনস্টিটিউটের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের নামফলক শিক্ষার্থীরা ভেঙে ফেলেন।

এরপর দুপুর দেড়টার দিকে আরেকদল শিক্ষার্থী ভবন নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে, যেখানে গাছ কাটা হয়েছে সেখানে নতুন ১১টি গাছ লাগিয়ে দেন। এরপর দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা একটি গাছে কাফনের কাপড় পরিয়ে লাশ বানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটা হলে সেসব গাছ বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট কার্যালয়কে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। তবে গাছ কাটার পর কয়েক ঘণ্টা পার হলেও কাটা গাছগুলো এস্টেট কার্যালয়কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ডেপুটি রেজিস্টার আবদুর রহমান বাবুল।

এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক অধ্যাপক কে এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, গাছগুলো এস্টেট অফিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। গাছগুলো ক্যাম্পাসেই থাকার কথা। কোথায় রাখা আছে আমি জানি না। তবে জেনে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব।

রাতের আঁধারে গাছ কাটা হলো কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক অধ্যাপক কে এম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওখানে ভবন করার জন্য সাবেক উপাচার্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার যারা পেয়েছেন তারা গাছগুলো কেটেছে। এখন তাদের যে সময় উপযুক্ত মনে হয়েছে তখন কাজ করেছে।

তবে গাছ কাটার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কোনো সংযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, বৃক্ষ কর্তন করছে আইবিএ সংশ্লিষ্টরা। তাদের ভবন নির্মাণের জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। এর সাথে আমাদের প্রকল্পের কোনো সংযোগ নেই।

এ বিষয় জানতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলমকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।