ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জন্ম নিবন্ধনের কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্কও আছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
জন্ম নিবন্ধনের কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্কও আছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম

ঢাকা: জন্ম নিবন্ধনের কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্কও আছে। সে বিষয়গুলো সমাধান হয়ে যাওয়া দরকার।

কোনো বিষয় ঝুলে থাকা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম।

সোমবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জন্ম নিবন্ধন বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা। এ সময় তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধন বিষয়ক কি কি সমস্যা আছে সেটি সমাধানের জন্য আজকে এ সভার আহ্বান করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনকে বিশেষভাবে বলা হয়েছে। কারণ সিটি করপোরেশন জন্ম নিবন্ধন নিয়ে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কিছু কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্কও আছে। এ বিষয়গুলো সমাধান হয়ে যাওয়া দরকার। কোনো বিষয় ঝুলে থাকা উচিত নয়।

তিনি বলেন, সেজন্য আমাদের যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আছে তার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। আমরা চাই সমস্যাগুলো সবাই জানুক এবং সমাধান হোক। আমি নিজেও দায়বদ্ধ হতে চাই। কারণ আমার দুর্বলতাগুলো কেন সমাধান করলাম না।

তিনি বলেন, এখানে নিরাপত্তার বিষয় আছে, কেপাসিটি বিল্ডিং, অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা আছে, সার্ভারে সমস্যা, টেকনিক্যাল সার্পোট কি দরকার এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করবো৷ আমরা তো বলিনি যে বাংলাদেশের সব সমস্যা সমাধান করে ফেলছি। আমাদের সমস্যা হাজারটি ছিলো সমাধানও হয়েছে। নতুন আরও সমস্যা আছে এবং সে সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য আমরা সবাই আন্তরিক। আমি দয়া করে অনুরোধ করবো এখানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সবাইকে নিয়ে এসেছেন। চাহিদা অনুযায়ী লোকবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চেয়েছি।

তাজুল ইসলাম বলেন, আপনাদের কি পরিমাণ লোকবল লাগবে, কোন কোন পদে লোক লাগবে, কারণগুলো কি কি সে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।  তাহলে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণায়ের কাছে যাবো। আপনাদের লোকবল না থাকলে তো কাজ করতে পারবেন না। আর অতিরিক্ত লোকবল চাইলে তো আমরা দিতে পারবো না। আপনাদের কতজন প্রোগ্রামার লাগবে কি কারণে লাগবে সেটি আমাকে বুঝাতে হবে। এখানে সবাই রয়েছে। এ কমিটি থেকেই এটি সমাধানের চেষ্টা করবো।

জন্ম নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের কোন ওয়ার্কআউট করা আছে কিনা যে কতো লোকবল লাগবে। আপনার গ্রোগ্রামার আছে একজন, এখন আপনার কতজন প্রয়োজন, কোন কাজের জন্য কতটি। মূল কথা হলো লোকবল যুক্তিসঙ্গতভাবে লাগতে হবে। আমাদের দেখাতে হবে এবং আমরা যদি মনে করি তাহলে দেবো। এরআগে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম জেলা পর্যায়ে আমাদের অফিস লাগবে এ বিষয়গুলো পরিচালনা করার জন্য।

তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি অফিস যদি থাকে তাহলে এগুলো পরিচালনার জন্য সেকেন্ডারি অফিস হিসেবে জেলা পর্যায়ে একটি অফিস দরকার। তাহলে ইউনিয়ন পর্যায়ের অফিসে সমস্যাগুলো জেলা অফিস সমাধান করবে। এতে কেন্দ্রীয়ভাবে সমস্যাগুলো আসবে না। এটি আমার ধারণা, তবে আমার ধারণা ভুলও হতে পারে। আমার ধারণা ইউনিয়ন লেবেল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যন্ত সরাসরি কাজ করতে পারি। এ বিষয়টি কেবিনেটে যাওয়া সময়সাপেক্ষ হবে। কিন্তু সমস্যাগুলো আমাকে তো সমাধান করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, মানুষ নভেম্বর ও ডিসেম্বর এ দুই মাসে বেশি করে জন্ম নিবন্ধন চাইবে দেখে আমি পারবো না। এটিতো কথা হতে পারে না। এখন আমাদের সমস্যাগুলো আগে সমাধান করতে হবে। এরপর দীর্ঘমেয়াদে কিভাবে এ সমস্যা সমাধান করতে পারি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯,২০২৩
জিসিজি/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।