ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৩ মে ২০২৫, ১৫ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

পুনর্বাসনের দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড কার্যালয় ঘেরাও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৩, অক্টোবর ১, ২০২৩
পুনর্বাসনের দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড কার্যালয় ঘেরাও

ঢাকা: পুনর্বাসনের দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ওয়ার্ড কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ধলপুর পল্লীসিটি পুনর্বাসন ও সুরক্ষা কমিটি।

শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে ঘেরাও কর্মসূচি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

৩৪ বছর ধরে বসবাসরত ধলপুর পল্লীসিটির ২৩০ পরিবারকে বিনা নোটিশে উচ্ছেদের প্রতিবাদে এবং এক মাসের মধ্যে বস্তিবাসীদের গৃহ দেওয়ার আশ্বাসের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রতারণার অভিযোগে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি আলী হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- সংগঠনের উপদেষ্টা শ্রমিকনেতা সেকেন্দার হায়াৎ, সাধারণ সম্পাদক রাসিদা বেগম, সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ খোকন, সুমি বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ বাবু, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, সরকার আইন পাস করেছে ‘দলিল যার জমি তার’ অথচ সরকার নিজেই এ আইন অমান্য করে রেজিস্ট্রি করা দলিল থাকা সত্ত্বেও ধলপুর পল্লীসিটির ২৩০ পরিবারকে জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জায়গাটি দখল করেছে।

তারা আরও বলেন, ১৯৯০ সালে তিনটি রেজিস্ট্রি দলিলের মাধ্যমে ধলপুর পল্লীসিটি বস্তিবাসীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে ২৩০ পরিবারকে চুক্তির মাধ্যমে ধলপুর পল্লীসিটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।  

নেতারা বলেন, তাদের সারা জীবনের অর্থ-শ্রম-মেধা ইনভেস্ট করা এ পল্লীসিটি। এখান থেকে উচ্ছেদের পর আজ তারা গৃহহীন-কর্মহীন। অনতিবিলম্বে ২৩০ পরিবারকে পুনর্বাসন বা গৃহ বরাদ্দ দিতে হবে। তাদের রেশনিং ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে। ডেঙ্গু মহামারির সময় বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদের দাবি মানা না হলে নগর ভবন ঘেরাও, গৃহ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সমাবেশ শেষে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৩
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।