ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর হৃদয় হত্যা মামলায় ১৬ শিশুর আটকাদেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
বরগুনায় চাঞ্চল্যকর হৃদয় হত্যা মামলায় ১৬ শিশুর আটকাদেশ

বরগুনা: বরগুনায় হৃদয় হত্যা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৯ জন আসামিদের মধ্যে ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে আটকাদেশ এবং তিনজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বরগুনা শিশু ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিরা হলো- ইউনুছ কাজী, রানা আকন, ইমন হাওলাদার, জুয়েল কাজী,সজীব, নাজমুল সিকদার, অন্তর, সিফাত, সাইফুল মৃধা ও রাব্বিকে ১০ বছরের, সাগর গাজী, সাইফুল কাজী, সোহাগ কাজী ও ফাইজুল ইসলামকে সাত বছর আটকাদেশ দেওয়া হয়। এবং শফিকুল ইসলাম, নাঈম কাজী ও রিবিউল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

বরগুনা জেলা শিশু আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মোস্তফা কাদের বলেন, পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ এই আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। এ মামলায় ১৯ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক (শিশু কিশোর) আসামির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমি মনে করি বিচারক ন্যায় বিচার করেছেন। বাকি প্রাপ্ত বয়স্ক আসামিদের বিচারও ন্যায় বিচার পাবো।

হৃদয় হত্যা মামলার বাদী হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বলেন, এ রায়ে আমি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি, বাকিদের প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের সঠিক বিচার হলে এভাবে আর কোনো মায়ের বুক খালি হবে না।  

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর বলেন, এ রায়ে আমাদের ওপর অবিচার করা হয়েছে, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।  

উল্লেখ্য, ২৫ মে ২০২০ সালে ঈদুল ফিতরের দিনে ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামে বুড়িশ্বর নদীর পাড়ে সুজন ওরফে হৃদয়কে পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে ২৬ মে ২০২০ বরিশাল শেরেই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।  
এ ঘটনায় হৃদয়ের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জন শিশু কিশোরসহ মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।