ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দক্ষিণের ৬ নদীর পানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দক্ষিণের ৬ নদীর পানি

বরিশাল: দক্ষিণাঞ্চল তথা বরিশাল বিভাগের ৬টি নদীর পানি সকাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।

মো. তাজুল জানান, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপে বেশকিছু নদীর পানি বেড়েছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো প্রভাব নেই। নদ-নদীর যে পরিমাণ পানি বেড়েছে তা মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই অঞ্চলের নদীর গভীরতা ও প্রস্থ বড় হওয়ায় এর পানি ধারণক্ষমতা বেশি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া ওয়াটার লেভেলের তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৬টায় বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এছাড়া বিকেল সাড়ে ৪টায় ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বিকেল সাড়ে ৩ টায় তজুমদ্দীনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় ভোলা খেয়া ঘাটের তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

অপরদিকে বুধবার দুপুর দুইটায় বরগুনার বেতাগীর বিশখালী নদীর পানি
বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এদিকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং উমেদপুরের বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা, বাকেরগঞ্জের বুড়িশ্বর, উজিরপুর স্বরূপকাঠি, গৌরনদী টরকি, বাবুগঞ্জ, ঝালকাঠির বিশখালী, কাইটপাড়া লোহালিয়া, মির্জাগঞ্জের পায়রা, পিরোজপুর স্বরূপকাঠি, বরগুনার বিশখালী ও আমতলীর বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি ও নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও তা ভাটায় আবার পানি নেমে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৩
এমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।