ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পোস্টার লাগিয়ে পাউবো প্রকৌশলীর অপসারণ দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
পোস্টার লাগিয়ে পাউবো প্রকৌশলীর অপসারণ দাবি শরিফুল ইসলাম ও রুবায়েত ইমতিয়াজ (বাঁ থেকে)

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ‘দুর্নীতিবাজ রুবাইয়াত ইমতিয়াজকে হটাও, তিস্তা প্রজেক্ট বাঁচাও’,‘দুর্নীতিবাজ রুবাইয়াত ইমতিয়াজের চামচা বড়বাবু শরিফুলকে হটাও, তিস্তা যান্ত্রিক বিভাগ বাঁচাও’ পোস্টার লাগিয়ে এক নির্বাহী প্রকৌশলী অপসারণের দাবি করা হয়েছে।  

অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (যান্ত্রিক বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী রুবায়েত ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে এ আন্দোলন করছেন এলাকাবাসী ও ঠিকাদাররা।

পোস্টারগুলো ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের চারপাশে লাগানো হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ডালিয়া পাউবোর যান্ত্রিক বিভাগের প্রকৌশলী রুবায়েত ইমতিয়াজ প্রায় ৮ বছর ধরে একই শাখায় কর্মরত থাকায় এখন তার দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টরা। পোস্টারে তার দুর্নীতির সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ঠিকাদারেরা।

পোস্টারে উল্লেখ করা হয়, প্রকৌশলী রুবায়েত ইমতিয়াজ সব সময় দাপটের সঙ্গে নানা অনিয়ম করে চলেছেন। ঠিকাদারি কাজ ঠিকাদারের নামে নিজেই করেন। সরকারি গুদামের কোটি কোটি টাকার মালামাল চুরি করে আত্মসাৎ করেছেন তিনি। আউটসোর্সিং নিয়োগের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া, অধস্তনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করাসহ দীর্ঘদিন একই দপ্তরে থাকায় সিন্ডিকেট তৈরি করে অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত থাকা, সরকারি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করা ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দিবসে অংশগ্রহণ না করার অভিযোগ করা হয়। আর এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন অফিসের বড়বাবু শরিফুল ইসলাম।  

এর আগে জরুরি কাজের নামে পুরোনো তারখুঁটি দিয়ে মাত্র ৫০ হাজার টাকা খরচে ডালিয়া পাউবোর বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কার করা হয়। এ কাজে অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ৩০ লাখ টাকা বিল ভাউচার করেন প্রকৌশলী রুবায়েত।  

তিস্তা ব্যারাজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজে অর্থ লোপাটের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সানব্লাস্টিং মেশিনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ব্যারেজ রং করার কথা থাকলেও শ্রমিকের মাধ্যমে হাত দিয়ে দায়সারাভাবে কাজটি করা হয়।  

ঠিকাদারের যোগসাজশে প্রকৌশলী রুবায়েত ইমতিয়াজকয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।

গুরুতর সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী রুবায়েত ইমতিয়াজ বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। কিছু স্থানীয় ঠিকাদার ষড়যন্ত্র করে এসব পোস্টার লাগিয়েছে। যারা পোস্টার লাগিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।  

পছন্দের ঠিকাদারকে একাধিক কাজ দেওয়ার বিষয়ে বলেন, যাদের যোগ্যতা আছে তারাই কাজ পান।

এ বিষয়ে শরিফুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।