ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কিশোরগঞ্জে আলিফ হত্যার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামির স্বীকারোক্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
কিশোরগঞ্জে আলিফ হত্যার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামির স্বীকারোক্তি

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে দর্জি কারিগর সোহান আহাম্মেদ আলিফ (২৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত মামলার মূল আসামি মাসুদকে (২৪) গ্রেপ্তার করার পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

রোববার (০২ এপ্রিল) বিকেলে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল আমিনের আদালতে গ্রেপ্তার মাসুদ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।  

এর আগে রোববার (০২ এপ্রিল) সকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের ভাস্করখিলা গ্রাম থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেলে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল আমিনের আদালতে তাকে হাজির করা হয়।  

মাসুদ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের উলুহাটি গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে।  

পুলিশ জানায়, গত ২০ মার্চ দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে দর্জির দোকানে কাজের জন্য যান সোহান আহাম্মেদ আলিফ (২৩)। এর পর আর সে বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে তাকে আত্মীয় বাড়িসহ নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) তার মা হাওয়া আক্তার কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর গত বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের উলুহাটির বন্দে গাউসুল আজম গোরস্তানের বরাদ্দকৃত জায়গা থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

নিখোঁজ আলিফের মা মরদেহের পরনে কালো রঙের জিনস প্যান্ট ও কোমরে কালো রঙের বেল্ট দেখে নিশ্চিত হন এটি তার ছেলে আলিফের মরদেহ। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) নিহত আলিফের মা হাওয়া আক্তার বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ ছয়-সাতজনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই পুলিশ এজাহারনামীয় আসামি আনন্দ (১৭) ও হুমায়ুন কবিরকে (২৮) গ্রেফতার করে।

এদিকে সোহান আহাম্মেদ আলিফ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনে মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শ্যামল মিয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (০২ এপ্রিল) সকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের ভাস্করখিলা গ্রাম থেকে এজাহারনামীয় মূল আসামি মাসুদকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার আসামি মাসুদের দেখানো মতে হত্যার পূর্বে সেবনকৃত ঘুমের ট্যাবলেটের খালি পাতা, খালি কাশির সিরাপের বোতল, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লাঠি, মরদেহ গুম করার জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজে ব্যবহৃত দুইটি কোদাল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।  

ভাগ্নের উপহারের অলংকার রূপার বিছা ও নগদ সাড়ে তিন হাজার টাকা চুরি সন্দেহে গ্রেফতার মাসুদ তার সহযোগীদের নিয়ে রাতের আঁধারে আলিফকে হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মরদেহটি মাটিচাপা দেয়।  

রোববার (০২ এপ্রিল) রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে সোহান আহাম্মেদ আলিফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।