ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৮ মে ২০২৪, ১৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রতি ওয়ার্ডে ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
প্রতি ওয়ার্ডে ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে: তাপস

ঢাকা: ঢাকা শহরের তরুণ সমাজের জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যকটি ওয়ার্ডে ব্যায়ামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে নলগোলা বহুব্রীহির উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র এ তথ্য জানান।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এই ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের এই জায়গাটায় অত্যন্ত ভঙ্গুর ও ছোট একটা শরীরচর্চা কেন্দ্র ছিল। আমরা এটাকে উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি। এখানে তিন তলাবিশিষ্ট একটি অবকাঠামো হবে। অত্যন্ত নান্দনিক একটি নকশা করা হয়েছে। সেখানে শরীরচর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে এবং তরুণরা যাতে বসতে পারে, নদী উপভোগ করতে পারে এবং চা-কফি খেতে খেতে যাতে নদীর পরিবেশ উপভোগ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই অবকাঠামো এই ওয়ার্ড তথা পুরাতন ঢাকার জন্য অত্যন্ত একটি চমকপ্রদ অবকাঠামো হবে। তরুণ সমাজকে গড়ে তুলতে এভাবেই আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। ঢাকা শহরে বিশেষ করে তরুণদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য, তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই আমরা একটি করে ব্যায়ামাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তরুণ সমাজের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র বলেন, আমরা চাই, আমাদের তরুণ সমাজকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে। সেজন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে চাই। সেই লক্ষ্যে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডেই আমরা কার্যক্রম হাতে নিচ্ছি। আমরা ঢাকা শহরের তরুণ সমাজের জন্য আমাদের কার্যক্রম, আমাদের সেবাগুলো পৌঁছে দিতে চাই। যাতে করে ঢাকা শহর একটি বাসযোগ্য নগরী হয়, একটি নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এ সময় মুক্তাঙ্গন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, আসলে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ঢাকা শহর একটি দখলের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। যেখানে দখল পাচ্ছি, সেখানেই আমরা অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছি। এই মুক্তাঙ্গন বেদখল ছিল। সেখানে একটি বাস্কেটবল কোর্টসহ যাতে ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারে, সেভাবেই আমরা মাঠটা উন্নয়নের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। হয়তো বা আগামী মাসের মধ্যেই আমরা সেটা উদ্বোধন করতে পারব। সুতরাং কোনোভাবেই অবৈধ উপায়ে কেউ সড়ক, হাঁটার পথ দখল করে রাখতে পারবে না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাজি সেলিম, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সামসুন নাহার ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এইচএমএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।