ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বাবুই পাখি শিকার করায় বাবা-ছেলের এক বছরের জেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
বাবুই পাখি শিকার করায় বাবা-ছেলের এক বছরের জেল

রাজশাহী: ফাঁদ পেতে ছয় শতাধিক বাবুই পাখি শিকার করায় বাবা ও ছেলেকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে তাদের এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

 

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ এ আদালত পরিচালিত হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ব্যাক্তি হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫) ও তার ছেলে ফিরোজ হোসেন (৩২)। তাদের বাড়ি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মদনহাট গ্রামে। আজ দুপুরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর উদ্ধার করা পাখিগুলো স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার সকালে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহরাব হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।  

তিনি জানান, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে চারঘাটে থাকা শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। মঙ্গলবার দিনগত রাতে চারঘাটের কাঁকড়ামারী বিল মেরামতপুর এলাকায় ফাঁদ পেতে ছয় শতাধিক ওই পাখি শিকার করেন তারা। সকালে পাখিগুলো জবাই করে ব্যাগে ভরেন। এ সময় ইউএনও পাখি শিকারের খবর পান।

ইউএনও সোহরাব হোসেন বলেন, পাখি ধরে হত্যা করায় বাবা ও ছেলেকে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আর তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নিজেদের দোষও স্বীকার করেছেন। পাখি শিকারি বাবা ও ছেলে আগেও চারঘাটে পাখি ধরেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। প্রতিটি বাবুই পাখি শহরে ১০ টাকা করে হোটেলে বিক্রি করেন তারা।

সোহরাব হোসেন আরও বলেন, বন্যপ্রাণী আইনের ২৬ ধারায় তাদের এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের আরও ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আর পাখিগুলো স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া কারাদণ্ডের পরে পুুলিশ তাদেরকে সাজা ভোগের জন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।