ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জুলাই থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
জুলাই থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল

ঢাকা: গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেল চালু হলেও চলছে সীমিত সময়ের জন্য। বর্তমানে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তথা মাত্র মাত্র ৪ ঘণ্টা চলছে মেট্রো।

এবার জানা গেল, জুলাই মাস হতে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।

এ সম্পর্কে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসে প্রতিদিন ফজরের সময় (ভোর) থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার চলাচলরত এ মেট্রোপথে যাত্রী শুক্র-শনিবার বাড়লেও অন্যান্যদিন থাকে ফাঁকা। কারণ মেট্রোরেল চলাচলের সময় ও অফিসের সময়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত যাত্রী মিলছে না।

সেজন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এমনটাই জানিয়ে এন সিদ্দিক বলেন, জুলাই মাস থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রোরেলের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু করা হবে। তখন অফিসগামী মানুষও বেশি চলাচল করতে পারবে। এখন মেট্রোরেলের চলার সময় ও অফিস টাইমের সঙ্গে মিস ম্যাস রয়েছে। আমরা আগেও বলেছিলাম পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমে যাব। পৃথিবীর সব মেট্রোরেল কিন্তু এভাবেই শুরু হয়। এটা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্র্যাক্টিস। আমরাও এটা অনুসরণ করে মেট্রোরেল পরিচালনা করছি।

তিনি বলেন, মেট্রোরেল পুরোদমে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত চালু হলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার ও দৈনিক পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।  

প্রসঙ্গত, ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল যেটা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে।  

২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও দ্বিতীয় অংশ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।  

আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।  

এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের  মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তখন সর্বোমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।  

এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা ও সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩  
এনবি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।