ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

রেকর্ড গড়ে হেরে গেলেন হিরো আলম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
রেকর্ড  গড়ে হেরে গেলেন হিরো আলম

বগুড়া:  বগুড়ার নন্দীগ্রাম-কাহালু উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৪ ও সদর উপজেলা তথা বগুড়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন হিরো আলম।

অর্থাৎ বগুড়া তো বটেই, সারাদেশে এর আগে কেউ দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেননি।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মতো বড় দলের প্রার্থীরা এর আগে একাধিক আসনে প্রতিদন্দ্বিতা করেছেন; কিন্তু স্বতন্ত্র হিসেবে একই ব্যক্তির দুই আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে হেরে গেছেন আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

ভোট গণনা শেষে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

বগুড়া-৬ সদর আসনে আওয়ামী লীগের রাগেবুল আহসান রিপু, জাপার নুরুল ইসলাম ওমর, স্বতন্ত্র আব্দুল মান্নানসহ ১১ জন এবং বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে জাসদের রেজাউল করিম তানসেন, স্বতন্ত্র কামরুল হাসান জুয়েল, জাপার শাহীন মোস্তফা কামালসহ ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে দুটি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশ নেন হিরো আলম।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। আর বগুড়া-৬ (সদর) আসনে মোট ভোটার চার লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন।  বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হয়েছেন।

মশাল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের একতারা প্রতীকে পড়েছে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হারেন তিনি।  

বগুড়া-৪ আসন ছাড়াও বগুড়া সদর উপজেলা তথা বগুড়া-৬ আসনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। সেই আসনে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। বগুড়া-৬ আসনে তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৪০। এ আসনে রাগেবুল আহসান রিপু নৌকা প্রতীকে ৩৩ হাজার ৪৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  

বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোটগ্রহণ করা হয়। বগুড়া সদর ও নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত ব্যক্তি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

ভোটগ্রহণ চলাকালে হিরো আলম বলেন, সদর আসনে নানা বিশৃঙ্খলা হয়েছে। কিন্তু দুপুরের পর নন্দীগ্রাম-কাহালু এলাকায় এসে দেখেছি, সবাই আমার একতারা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। সুন্দর পরিবেশে ভোট হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আমিই এখানকার এমপি হচ্ছি।  

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর দলীয় সিদ্ধান্তে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় বগুড়ার দুটি আসন শূন্য হয়ে পড়ে। এই শূন্য আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর থেকেই আলোচিত হয়ে আসছিলেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।