ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডা. মহিউদ্দিনের সংগ্রহে রয়েছে কয়েকশ’ বছরের পুরোনো ২ শতাধিক মুদ্রা

ছোটন সাহা, ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
ডা. মহিউদ্দিনের সংগ্রহে রয়েছে কয়েকশ’ বছরের পুরোনো ২ শতাধিক মুদ্রা

ভোলা: মানুষের বিভিন্ন ধরনের স্বপ্ন বা বিচিত্র শখ থাকে। সেই শখের বশেই প্রাচীন-মুঘল ও ব্রিটিশ আমলের দুই শতাধিক মুদ্রা সংরক্ষণ করেছেন ভোলার ডিপ্লোমা চিকিৎসক ডা. মো. মহিউদ্দিন।

ছোটবেলা থেকেই এসব মুদ্রা বা কয়েন সংগ্রহ করে আসছেন তিনি। তিনি মনে করছেন এসব মুদ্রা ঐতিহ্য বহন করে আছে। সেই সময়কার কৃষ্টি-কালচার দেখে নতুন প্রজম্ম হয়ে উঠবে সু-নাগরিক। তাই এ ধরনের মুদ্রা-কয়েন সংগ্রহর কাজ চালিয় যেতে চান তিনি।

ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নেরর মেঘনার উপকূলের গঙ্গাকীর্তি গ্রামের বাসিন্দা ডা. মো. মহিউদ্দিন। তিনি ভোলা ইসলামিয়া ইউনানী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক। সময় পেলেই তিনি কবিতা লেখেন। এ পর্যন্ত লিখেছেন ৫ হাজার কবিতা। ছোটবেলা থেকেই তার শখ ধাতব মুদ্রা, কয়েন ও পুরনো দিনের কাগুজে নোট সংগ্রহ করা। সেই ইচ্ছা থেকেই এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করেছেন প্রাচীন, মুঘল ও ব্রিটিশ আমলের ২ শতাধিক মুদ্রা। যা রেখেছেন নিজের কাছে।  বাহারি আকারের এসব মুদ্রা দেখতে ভিড়ও জমান অনেকে।

ডা. মহিউদ্দিন বলেন, আদি যুগের মানুষের কৃষ্টি কালচার, সামাজিকতা এবং তাদের সভ্যতা এ মুদ্রা তে চিত্রায়িত ও অঙ্কিত রয়েছে। সেগুলো দেখে নতুন প্রজম্ম আদি সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারবে। আমি মনে করি নতুন প্রজম্মের এসব ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার প্রয়োজন আছে। তাতে তারা জ্ঞানার্জন করতে পারবে। যতদিন পারবো মুদ্রা সংগ্রহের কাজটি চালিয়ে যেতে চাই।

বাবার এমন মুদ্রা সংগ্রহের কাজকে উৎসাহ দিচ্ছেন তার মেয়ে আমেনা বেগম জুঁই। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমার বাবা এসব পুরোনো মুদ্রা সংগ্রহ করছেন। আমি মাঝে মধ্যে সহযোগীতা করেছি। অনেকেই এসব মুদ্রা নিয়ে অবহেলা করেন। কিন্তু এটা ঠিক না। যারা বুঝেন তারাই এসব মুদ্রার সঠিক মূল্যায়ন করেন।

এদিকে সচেতন মহল মনে করছেন মহিউদ্দিনের সংগৃহীত এসব মুদ্রা জাতীয় জাদুঘরে স্থান পাওয়ার যোগ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।