ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

সৌন্দর্য ও গুণাগুণের জবা

মো. রাজীন উদ্দিন চৌধুরী, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
সৌন্দর্য ও গুণাগুণের জবা ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পড়ন্ত বিকেলে শির উঁচু করে গোলাপি জবাটি উত্তরার একটি নার্সারিতে দেখা যায়। সাধারণত শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে বাড়ির আঙিনা কিংবা ছাদে জবা লাগানো হয়।

মালভেসি গোত্রের চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম এ জবা।

জবা ৫টি পাপড়ি যুক্ত ফুল। ফুলের ব্যাস ১০ সেমি (৪ ইঞ্চি)। জবা সাধারণত গ্রীষ্মকাল ও শরতকালে ফোটে। জবা গাছের উচ্চতা ৮-১৬ ফিট ও প্রস্থ ৫-১০ ফিট হয়ে থাকে।

জবা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না, তাই নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে জবা গাছকে গ্রীনহাউজে রাখা হয়। জবার বিভিন্ন রকমের সংকর প্রজাতি আছে, যাদের ফুলের রঙ সাদা, হলুদ, কমলা ইত্যাদি হতে পারে। সাধারণত জবা বলতে রক্ত জবাই চোখে ভেসে আসে।  

বৈজ্ঞানিক ক্যারলাস লিনেয়াস জবার নাম দেন হিবিস্কাস রোসা-সিনেন্সিস। লাতিন শব্দ 'রোসা সিনেন্সিস'-এর অর্থ 'চীন দেশের গোলাপ', যদিও জবার সঙ্গে গোলাপের সম্পর্ক নেই। ভারতীয় উপমহাদেশে জবা গাছ বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন বাংলায় জবা, তামিলে সেম্বারুথি, হিন্দিতে জবা কুসুম, মালয়লমে সেম্পারাত্তি ইত্যাদি।

ঔষধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ জবা বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সর্দি-কাশিতে জবা ফুল বেটে রস করে পানিতে মিশিয়ে খেলে রোগী সুস্থ হয়। চুলের বৃদ্ধির জন্য জবা পাতার রস তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে উপকার হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।