ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

করোনাকালে কালোজিরা কেন খাবেন না! 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
করোনাকালে কালোজিরা কেন খাবেন না!  কালোজিরা

কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নাম Nigella Sativa Linn। কালোজিরা মানবদেহের জন্যে খুবই উপকারি। এটি মসলা, সুগন্ধি, তেল হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। এর প্রচুর ওষধিগুণ  রয়েছে। 

প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, ‘ তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্বরোগের মুক্তি  রয়েছে’।

সহীহ বুখারী: ১০/১২১.   

ইউএসডিএ’র তথ্যানুসারে ১০০ গ্রাম কালোজিরায় ৩৪৫ ক্যালরি শক্তি, ১,৬৯৭ মিলিগ্রাম  পটাশিয়াম (দৈনিক চাহিদার ৪৮ শতাংশ), ৮৮মিলিগ্রাম সোডিয়াম (দৈনিক চাহিদার ০৩ শতাংশ) ৪০ গ্রাম খাদ্য-আঁশ  (দৈনিক চাহিদার ১৬০শতাংশ),   ৫২ গ্রাম শর্করা (দৈনিক চাহিদার ১৭ শতাংশ), ১৬ গ্রাম প্রোটিন  (দৈনিক চাহিদার ৩২ শতাংশ), ক্যালশিয়াম (দৈনিক চাহিদার ১১৯ শতাংশ), আয়রন (দৈনিক চাহিদার ১০২ শতাংশ), ম্যাগনেশিয়াম (দৈনিক চাহিদার ৯৬ শতাংশ),  ভিটামিন- সি (দৈনিক চাহিদার ৩৫ শতাংশ), ভিটামিন- বি৬ (দৈনিক চাহিদার ২৫ শতাংশ) বিদ্যমান থকে।

নাইজিলা সিড বা কালোজিরার  দানার হাইড্রো-পাতনের মাধ্যমে প্রাপ্ত “অত্যাবশ্যকীয় তেল” বিশ্লেষণে প্রায় ১০০টির বেশি উপকারি জৈব যৌগের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যা পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকার রসায়ন বিভাগের অ্যানভায়রনমেন্টাল অর্গানিক কেমিস্ট্রি গবেষণাগারে GC-MS যন্ত্রের মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়।  


মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ বলা হয় কালোজিরাকে। স্থুলতা, ক্যান্সার ও হৃদরোগ সব কিছুর বিরুদ্ধেই শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কালোজিরা।  

সাধারণ সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা, জ্বর, যেকোনো ধরনের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতেও কালোজিরার জুড়ি নেই।  

এছাড়া সেক্স হরমোন ক্রিয়াকলাপ এবং নিউরোজেনারেটিভ কার্যকরিতা বাড়ে কালোজিরা খেলে।  

বুঝতেই পারছেন প্রতিদিন এক চামচ কালোজিরা আমাদের সুস্থতার জন্য কত প্রয়োজন। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সবকটি মূল উপাদানই কালোজিরায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে মহামারি করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শরীরকে তৈরি করুন কালোজিরা খেয়ে।  

এক চা-চামচ কালোজিরা বাটা, সমপরিমাণ আদার রস ও মধু মিশিয়ে দিনে তিন বার খান। সকালে খালি পেটে পানির সঙ্গে খেতে পারলে বেশি উপকার, তবে এভাবে খেতে কষ্ট হলে ভর্তা বানিয়ে গরম ভাতেও খেতে পারেন কালোজিরা। তরকারিতে বা টকদই দিয়েও কালোজিরা খেতে ভালোই লাগে।  

লেখক: রায়হান তারেক
ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।